এখনো বিশ্বকাপ জয়ের ঘোরেই আবদ্ধ মেসি

১৮ ডিসেম্বর দিনটি নিশ্চিত ভাবেই কোনোদিনই ভুলতে চাইবেন না লিওনেল মেসি। ব্যক্তিগত অর্জনে সবাইকে অনেক আগেই ছাড়িয়ে যাওয়া মেসির ক্যারিয়ারের একমাত্র অপূর্ণতা হয়ে ছিল বিশ্বকাপ জয়। কাতারে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর সেই আক্ষেপ ঘোচার সাথে সাথে মেসির শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে সব প্রশ্নও যেন ধুয়ে মুছে গেছে।

১৮ ডিসেম্বর দিনটি নিশ্চিত ভাবেই কোনোদিনই ভুলতে চাইবেন না লিওনেল মেসি। ব্যক্তিগত অর্জনে সবাইকে অনেক আগেই ছাড়িয়ে যাওয়া মেসির ক্যারিয়ারের একমাত্র অপূর্ণতা হয়ে ছিল বিশ্বকাপ জয়। কাতারে গতবছরের ১৮ ডিসেম্বর সেই আক্ষেপ ঘোচার সাথে সাথে মেসির শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে সব প্রশ্নও যেন ধুয়ে মুছে গেছে।

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জেতার ১ মাস পূর্ণ হল। কিন্তু এখনো যেন সেটা বিশ্বাসই হচ্ছে না এই ক্ষুদে জাদুকরের।ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপ জেতার পর ছুটি কাটিয়ে নিজ ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন এ যোগ দিয়েছেন মেসি। কিন্তু বিশ্বকাপ জেতার ঘোর এখনো কাটিয়ে উঠতে পারছেন না তিনি। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হবার এক মাস পরেও তিনি যে সেই ঘোরেই আছেন তা বোঝা গেলো তাঁর একটি ইন্সটাগ্রাম পোস্টে।

নিজের ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে মেসি বিশ্বকাপ জয়ের একমাস পূর্তি উদযাপন করে একটি পোস্ট দিয়েছেন। পোস্টে মেসি জানিয়েছেন, তিনি সব সময়ই বিশ্বাস করতেন ঈশ্বর তাকে বিশ্বকাপ জয় থেকে বঞ্চিত করবেন না। কিন্তু তিনি শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ জয়ের পর তাঁর বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল যে তাঁর ক্যারিয়ারের পরম আরাধ্য শিরোপা অর্জিত হয়েছে।

ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এই ক্ষুদে জাদুকর লেখেন, ‘আমি সব সময়ই বিশ্বাস করতাম যে ঈশ্বর আমাকে ফিরিয়ে দেবেন না। কিন্তু সত্যি সত্যি বিশ্বকাপ জেতার পর আমার এটি বুঝতে সময় লেগেছে।’

২০১৪ সালেও এই আরাধ্য অর্জনের খুব কাছে পৌঁছেছিলেন মেসি। কিন্তু সেই বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরষ্কার জিতলেও ফাইনালের মঞ্চ থেকে পরাজিত হয়েই বিদায় নিতে হয় মেসির। এরপর মাঝে জাতীয় দলের হয়ে আর না খেলার কথা জানালেও মেসি ফিরে আসেন দুর্দান্ত প্রতাপে। ২০২১ সালে কোপা আমেরিকার পর দেশের ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে এনে দিয়েছেন বিশ্বচ্যাম্পিয়নের মুকুট। এমন অবিশ্বাস্য অর্জনের মূহুর্তগুলো নিশ্চয় আজীবন স্বপ্নের মতই হয়ে থাকবে।

বর্তমানে পিএসজির হয়ে সৌদি আরব লিগের অলস্টার একাদশের বিপক্ষে খেলতে আবারো এশিয়ার মাটিতে অবস্থান করছেন মেসি। যেই এশিয়ার মাটিতে নিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন সেই এশিয়া মেসির জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে নি:সন্দেহে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...