নাহিদের গতি, মিরাজের ভাগ্য

শেষ দু’টি উইকেট তুলতে ঘাম বের হয়ে যায় বাংলাদেশের। এর মধ্যে আরও ৫০ রান অনায়াসেই যোগ করে ফেলে সফরকারীরা। লিড চলে যায় ৮২ রানে!

বোর্ডে বড় সংগ্রহ নেই বলে বোঝা যাচ্ছে না। এর বাদে বোলিংয়ে যা দরকার ছিল সেটাই করতে পেরেছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে নাহিদ রানা আর মেহেদী হাসান মিরাজ, যখনই জিম্বাবুয়ের পায়ের নিচে মাটি শক্ত হয়েছে তখনই তাঁরা ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন।

ম্যাচে ফিরতে হলে দিনের শুরুটা ভালো করতে হতো বাংলাদেশের। নাহিদ রানার কল্যাণে সেটা হয়ে যায়। দিনের শুরুতেই আগের দিনের অপরাজিত দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দেন নাহিদ রানা। সকালের সেশনে নাহিদ রানার গতি ও পেসে বারবার ভড়কে গিয়েছে জিম্বাবুয়ে দল। সিলেটের দ্বিতীয় দিনে নাহিদ রানা ত্রাস সৃষ্টি করেছেন। ফলে, প্রয়োজনের চেয়ে কিংবা সামর্থ্যের চেয়ে একটু বেশি সময় জুড়েই তাঁকে বোলিং করিয়ে গেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

ব্রেক থ্রু খুব একটা না পেলেও দিনের সেরা বোলিংটা করেন হাসান মাহমুদ। স্কোর কার্ড দেখলে অবশ্য সেটা বোঝার কোনো উপায় নেই। কারণ, মাত্র একটা উইকেট পেয়েছেন তিনি। সেদিক থেকে অবশ্য সৌভাগ্যবান মেহেদী হাসান মিরাজ।

বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে সবচেয়ে ম্যাড়মেড়ে বোলিংটা তিনি করলেও, উইকেট সংখ্যায় তিনি বাজিমাৎ করেছেন। টেস্ট ক্রিকেটে ১১ তম ফাইফার পেয়েছেন তিনি। তবে, শন উইলিয়ামস না নিয়াশা মায়াভোর মত জরুরী উইকেটগুলো পেয়েছেন তিনি।

যথারীতি সিলেটেও ভুগিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ের লোয়ার অর্ডার। ২২৩ রানে অষ্টম উইকেটের পতন হয়। এরপর আর দু’টি উইকেট তুলতে ঘাম বের হয়ে যায় বাংলাদেশের। এর মধ্যে আরও ৫০ রান অনায়াসেই যোগ করে ফেলে সফরকারীরা। লিড চলে যায় ৮২ রানে!

Share via
Copy link