প্রতিক্রিয়া জানানোর দায়ে মিরাজের শাস্তি!

বরাবরই ঠাণ্ডা, শান্ত মেজাজের ক্রিকেটার হিসেবেই পরিচিত মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) সিটি ক্লাবের বিপক্ষে ম্যাচে দেখা মিলল অন্য এক মিরাজের। ব্যাটিংয়ের সময় আম্পায়ারের আউট দেওয়ার সিদ্ধান্তে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন এ ক্রিকেটার। আর তাতেই আম্পায়ারের সাথে অসদাচরণের অভিযোগে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে মিরাজকে।

বরাবরই ঠাণ্ডা, শান্ত মেজাজের ক্রিকেটার হিসেবেই পরিচিত মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) সিটি ক্লাবের বিপক্ষে ম্যাচে দেখা মিলল অন্য এক মিরাজের। ব্যাটিংয়ের সময় আম্পায়ারের আউট দেওয়ার সিদ্ধান্তে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন এ ক্রিকেটার। আর তাতেই আম্পায়ারের সাথে অসদাচরণের অভিযোগে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে মিরাজকে।

মূলত ঘটনার সূত্রপাত, ইনিংসের চৌদ্দতম ওভারে, যখন মোহামেডানের হয়ে ব্যাট করছিলেন মিরাজ। সিটি ক্লাবের আসিফ হাসানের করা সে ওভারের শেষ বলটি মিরাজের প্যাডে লাগতেই সিটি ক্লাব ফিল্ডারদের এলবিডব্লুর জোরালো আবেদন। আম্পায়ার সে আবেদনে সাড়া দিলে মাঠেই হতাশা প্রকাশ করে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন মিরাজ।

এখানেই শেষ নয়। ডাগআউটে ফিরে আউটের ভিডিও দেখেন মিরাজ। আর তা দেখেই ড্রেসিংরুমে একটা অসন্তোষ ছড়িয়ে দেন। ম্যাচের চতুর্থ আম্পায়ার অমিত মজুমদারের কাছেও ছুটে যান। সেই ভিডিও দেখিয়ে মিরাজ ক্ষোভে ফেটে পড়ে আম্পায়ারের কাছে ব্যাখ্যা চান। বারবার বলে ওঠেন, এটা কিভাবে আউট হয়!

মিরাজের এই প্রতিক্রিয়াই পরবর্তীতে বাড়াবাড়ি মনে হয়েছে ম্যাচ কর্মকর্তাদের কাছে। তাই তাঁর এই আচরণকে লেভেল–১ পর্যায়ের অপরাধ হিসেবে গণ্য করে সর্বোচ্চ শাস্তিই দেওয়া হয়েছে মিরাজকে। খেলা শেষে ম্যাচ রেফারি রেফারি আখতার আহমেদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন তাঁকে।

অবশ্য মিরাজের এমন মাঠ গরমের দিনে জয় পেয়েছে তাঁর দল মোহামেডানই। তিনি রান করতে না পারলেও অধিনায়ক ইমরুল কায়সের সেঞ্চুরি আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৭১ রানের ইনিংসের কল্যাণে মোহামেডান বড় সংগ্রহ পায়। স্কোরবোর্ডে জমা করে ৩৪৮ রান।

এমন বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সিটি ক্লাব থামে ২৪৭ রানে। ব্যাট হাতে এ দিন রান না পেলেও বল হাতে ১০ ওভারে মাত্র ২৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন মিরাজ। ঘটনাবহুল এ ম্যাচে ছিলেন সাকিবও। মোহামেডানের হয়ে ১৬ বলে ২৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলার পর বল হাতে ৩৬ রানে নেন ১ উইকেট।

ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে খেলোয়াড়দের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানো নতুন কিছু নয়। নিম্নমানের আম্পায়ারিং অনেকটা ‘হ য ব র ল’ এর মতো অবস্থাতেই চলতে থাকে দেশের শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেট। এখান থেকে পরিত্রাণের বুলি অনেক সময় শোনা গেলেও, সময়ের ব্যবধানে পরিবর্তনের চিত্রের দেখা মেলেনি কখনোই। তিমিরেই রয়ে গিয়েছে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...