মিরপুরের মাটি মিরাজের ঘাঁটি

মিরপুরকে মিরাজের ঘাঁটি বলতে দোষ নেই। তিনি যেমন এখানে বোলিং করতে ভালবাসেন, তেমনি হোম অব ক্রিকেটও তাকে দু'হাত ভরে দিয়েছে সব সময়।

মিরপুরের মাটি মিরাজের ঘাঁটি। এমন একটা স্লোগান চাইলেই ব্যবহার করা যায়। শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম যে মিরাজের জন্যে বড্ড পয়া। এখানে তিনি দারুণ সব কীর্তি গড়েছেন এখন অবধি। এই যেমন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে মাত্র ছয় রানে বাগিয়েছেন তিনটি উইকেট।

একটা বিষয় সব সময়ই বলা হয়। টি-টোয়েন্টিতে মিরাজের বোলিং ততটাও কার্যকর নয়। এ কথা বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট বেশ বিশ্বাস করে। অবিশ্বাস করবার বিশেষ কোন উপায়ও নেই। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মোটে ১৪ টি উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ম্যাচ খেলেছেন ২৯টি। ইকোনমি রেট প্রায় নয় ছুঁইছুঁই।

এমন একজন বোলারকে নিশ্চয়ই আদর্শ টি-টোয়েন্টি বোলার বলা যায় না। তবুও মিরাজ ঢাকা ক্যাপিটালসের কোমড় ভেঙে দিলেন। বল হাতে ঘূর্ণি জাদুতে লিটন দাসকে ফিরিয়েছেন তিনি প্যাভিলিয়নে। এরপর স্টিফেন এস্কিনাজি ও শুভাম রাঞ্জনকেও সাজঘরে পাঠিয়েছেন। তার থেকেও চমকপ্রদ বিষয় তিনি তার চার ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ৬টি।

মারকাটারি টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও একটি ওভারে দেননি কোন প্রকার রান। মিরপুর বলেই সম্ভবত সম্ভব হয়েছে এমন কীর্তি। কেননা শেরে বাংলায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৯০টি উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে সংখ্যাটা নিশ্চয়ই আরও অনেক বেশি।

এখানে ঠিক কিভাবে ব্যাটারদের রান শুকিয়ে দিতে হয় সেটা তার ভালই জানা। কিন্তু মিরপুরের বাইরে গেলেই তাকে সহ্য করতে হয় বেধম প্রহার। এ কারণে জাতীয় দলের অধিনায়করা তাকে বোলিং দেওয়ার সাহস করেন না। এই যেমন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে তাকে দিয়ে মাত্র একটি ওভার করিয়েছেন অধিনায়ক লিটন।

এছাড়া এমন আরও উদাহরণ খুঁজে পাওয়া যাবে। তাইতো মিরপুরকে মিরাজের ঘাঁটি বলতে দোষ নেই। তিনি যেমন এখানে বোলিং করতে ভালবাসেন, তেমনি হোম অব ক্রিকেটও তাকে দু’হাত ভরে দিয়েছে সব সময়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ উইকেট শিকার তিনি করেছেন মিরপুরের মাটিতে।

Share via
Copy link