চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষ বিকালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে ৬ ওভার বল করার পর কুঁচকিতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন সাকিব আল হাসান। এরপর আর মাঠে নামা হয়নি সাকিবের। প্রথম ইনিংসে সাকিবের অভাব বোঝা না গেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর না থাকাটা একটা পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩৯৫ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েও অবিশ্বাস্য ভাবে ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। মায়ার্স ও বোনার স্বচ্ছন্দে খেলেছে বাংলাদেশি বোলারদের। অধিনায়ক মুমিনুল হক মনে করেন সাকিব আল হাসান থাকলে বোলিং আরো গোছানো হতো; সাকিবের না থাকার প্রভাব পড়েছে বোলিং ইউনিটে।
বোলিংয়ে যখন ধুকঁছে বাংলাদেশ তখন বারবার টিভি স্কিনে দেখাচ্ছিলো সাকিবকে। বিষন্ন মনে সারা দিনই বসে ছিলেন মাঠের পাশেই। মিরাজ তাইজুলদের পরামর্শ দিতেও দেখা গেছে তাকে। দলকে উজ্জীবিতও করেছেন বিভিন্ন সময়। কিন্তু নামতে পারেননি শুধু ২২ গজে।
তাই সাকিবকে না পেয়ে মুমিনুলের আক্ষেপ আরো বেড়েছে। মমিনুল জানিয়েছেন সাকিব আল হাসানকে মিস করেছেন সব সময়। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, বলতে পারেন। সাকিব ভাই থাকলে বোলিং অনেক গোছানো হত। যেহেতু সিনিয়র বোলার, সিনিয়র ব্যাটসম্যান, সবাইকে আগলে রাখতে পারত। উনি না থাকায় মিস করেছি, বিশেষ করে বোলিংয়ে।’
প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৭ উইকেটের প্রতিটিই নিয়েছেন স্পিনাররা। মুমিনুল মনে করেন সাকিব ছাড়াও ম্যাচ জেতার মতো বোলিং ইউনিট ছিলো তাদের। কিন্ত জায়গা মতো বল করতে না পারার কারণে ম্যাচ হেরেছে তাঁরা।
তিনি বলেন ‘সাকিব ভাই না থাকাতেও স্পিনাররা ভালো করেছে। তাইজুল, নাঈম মিরাজ ভালো করেছে। যে বোলিং অ্যাটাক ছিল ওরা একটু ভালো লেন্থে বল করললে.. ওরা ম্যাচ জেতানোর যোগ্য। আমরা একটু দুর্ভাগা ছিলাম, ভালো জায়গায় বল করতে পারিনি।’
মুমিনুলের আগে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক ছিলেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের অনাকাঙ্ক্ষিত নিষেধাজ্ঞায় হঠাৎ করেই নেতৃত্ব পান মমিনুল হক। মুমিনুলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ পাঁচ টেস্ট খেললেও ছিলেন না সাকিব আল হাসান। মুমিনুলের অধিনায়কত্বে সাকিব মাঠে নামলেও ইনজুরির কারণে বল করেছেন মাত্র ৬ ওভার।
তাই মমিনুল হক জানিয়েছেন বোলার সাকিবকে মিস করলেও সাকিবের পরামর্শ মিস করাটা খুব বেশী অনুভব করেননি তিনি। মমিনুল বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে উনার সাথে খুব বেশি ম্যাচ খেলিনি। এই প্রথম সুযোগ ছিল। আগে খেললে হয়ত ওভাবে অনুভব করতাম।’