সামনে এগোতে চায় বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩৯৫ রানের বিশাল চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েও কাইল মায়ার্সের অবিশ্বাস্য ইনিংসের কাছে হেরে গিয়েছিলো বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মমিনুল হক ও প্রথম টেস্টে দলের সেরা পারফর্মার মেহেদী হাসান মিরাজ জানিয়েছিলেন এমন ভাবে হেরে যাবে কল্পনাও করেনি তাঁরা।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খানের ভাষ্যমতে এমন ভাবে হারার পর বাংলাদেশ অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে গেছে। তবে মমিনুল হক বলছেন আগের ম্যাচ নিয়ে চিন্তা করছেন না তাঁরা। অতীত ভুলে সামনে এগিয়ে যেতে চায় দল।

তিনি বলেন, ‘দেখেন যে কথায় আছে অতীত যেটা চলে গেছে ওইটা নিয়ে চিন্তা না করাই ভালো। ওইখান থেকে যেগুলো ইতিবাচক জিনিস আছে সেগুলো নিয়ে সামনে এগোতে চাই। ওই হিসেবে আল্লাহর রহমতে সবাই ইতিবাচক আছে। ইনশাআল্লাহ কালকে আমরা ইতিবাচক ফলাফল করতে চাই।’

২০১৮ সালে পূর্ণ শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টেস্ট সিরিজে হোয়াটওয়াশ করেছিলো বাংলাদেশ। তবে এবার সিরিজের প্রথম টেস্টে খর্ব শক্তির ক্যারিবিয়ানদের কাছে হেরে সিরিজে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। তাই দ্বিতীয় টেস্ট জিতে সিরিজে সমতা আনতে মুখিয়ে আছে সবাই।

মমিনুল হক জানিয়েছেন, ‘এক্সপেকটেশন তো সবসময়ই থাকে। আপনাদের যা এক্সপেকটেশন এজ এ ক্যাপ্টেস হিসেবে আমারো। এই ম্যাচটা জেতার জন্য সবাই উদগ্রীব হয়ে আছে। এক্সসাইটেড হয়ে আছে। ইনশাআল্লাহ দেখা যাক কাল কি হয়।’

প্রথম টেস্টে চার স্পিনারের সাথে এক পেসার নিয়ে মাঠে নেমেছিলো বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পতন হওয়া ১৭ উইকেটের ১৫ টি শিকার করেছিলেন তিন স্পিনার এবং বাকি দুটি উইকেট নিয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। চট্টগ্রামের থেকে তুলনামূলক ভাবে ঢাকার উইকেট আরো স্পিন সহায়ক হয়ে থাকে। মমিনুল হক জানিয়েছেন কয়টা পেসার ও স্পিনার খেলানো হবে এই সিদ্বান্ত নেওয়া হবে উইকেট দেখে।

তিনি বলেন, ‘ওইটা আসলে কন্ডিশনের উপর নির্ভর করছে, উইকেট যদি ওইরকম হয় তিনটা পেস বোলার যদি না হয় তাহলে স্পিনার খেলানো হবে। আসলে কন্ডিশনের উপর নির্ভর করবে পেস অ্যাটাক হবে নাকি স্পিন অ্যাটাক হবে। উইকেটের আশা বলতে আমাদের স্পিন আক্রমণটা ভালো পেসটাও আল্লাহর রহমতে ভালো তো এটা হয়ত সমন্বয়ং করে হবে আশা করি। অবশ্যই পেসারদের প্রাধান্য দেয়া হবে। আর উইকেটের ওপরই আমরা কালকে সিদ্ধান্ত নিব কয়টা পেস বোলার খেলবে কে কে খেলবে।’

চোটের কারণে সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সাকিবের পরিবর্তে স্কোয়াডের বাইরে থেকে ডাকা হয়েছে সৌম্য সরকারকে। ১৮ সদস্যের স্কোয়াড থাকলেও বাইরে থেকে কেনো ক্রিকেটার আনতে হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের অধিনায়ক জানিয়েছেন ব্যাটিং বোলিং দুটোই পারে এমন কাউকে দরকার দলের; তাই সৌম্যকে ডাকা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মমিনুল বলেন, ‘জিনিসটা হলো পুরোপুরি যেহেতু সাকিব ভাই নাই তখন আমার যখন আমি আরেকটা খেলোয়াড় নেব সাকিব ভাইয়ের কারণে দুইটা খেলোয়াড় নিতে হবে। যে কারণে বোলিং পারেন ব্যাটিং-বোলিং দুইটাই পারে এমন একজন খেলোয়াড় দরকার ছিল যে কারণে ওই অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link