মুকাদ্দার কা সিকান্দার

তরুণ তেজপালকে চেনেন? তেহেলকা খ্যাত তরুণ তেজপাল! মনে রাখবেন মানুষটিকে – অন্তত এই লেখাটি শেষ হওয়া অবধি, মনে রাখবেন প্লিজ!

আর মনে রাখবেন ১৫ মে, ১৯৯৬ তারিখটিকে। মনে রাখবেন। দরকার পড়বে।

শোনা যায় কিশোর কুমার ও রাহুল দেব বর্মণ ছিলেন বেশ ঘনিষ্ঠ বন্ধু। কী সব অমর, কালজয়ী কাজ একসঙ্গে করেছেন, ভাবলেও অবাক হতে হয়। শুধু জুনিয়র কেন, সিনিয়র বর্মণের সঙ্গেও সময় ভুলিয়ে দেওয়া কাজ আছে খান্ডোয়ার উকিল কুঞ্জলাল গাঙ্গুলির ছোট ছেলের।

অসংখ্য আড্ডা, গান, গল্প, জলসা, মান-অভিমান আর স্মরণীয় সৃষ্টির মজবুত কাঠামোর ওপরে দাঁড়িয়ে এক গগনচুম্বী প্রাসাদোপম বন্ধুত্বের, আত্মীয়তার কাহিনী! এই সেদিন, ‘মুসাফির হুঁ ইয়ারোঁ’ গানটা শুনতে শুনতে ভাবছিলাম, এমনটা তো হতেই পারে যে, কোনও একদিন জুহু-তারা রোডের গৌরীকুঞ্জে সান্ধ্যবাসরে বসে আছেন দুই বন্ধু; তৃতীয় পেগ হাতে, সোফায় হেলান দিয়ে, অন্যমনস্ক কিশোর আর.ডি-কে শোনাচ্ছেন তাঁর গোপনতম পেশাদার দুঃখের কথা।
আচ্ছা, কী হতে পারে সেই দু:খ?

সলিল চৌধুরী কিশোরকে দিয়ে বেশি গান গাওয়াননি, তালিমের অভাব, এই অজুহাতে! আড়াই হাজারের ওপর হিন্দি প্লেব্যাক গেয়েছেন কিশোর। সলিলবাবুর সুরে… মাত্র ছাব্বিশটা!

উত্তমের যে অভিযোগ তাঁর মানিকদার প্রতি, অনেকটা সেইরকম অবুঝ ছেলেমানুষি অভিমান কি গেলাসের পানীয়ে ঢেলে দিচ্ছেন গায়ক?

নাকি রাজেশ খান্নার পরে ভাল লিপ-সিঙ্ক করার নায়ক পাওয়া গেল না, সেই আফশোষ? অমিতাভ যতই অ্যাঙরি ইয়ং ম্যান হোন – ‘কুছ তো লোগ কাহেঙ্গে’-র মেদুর অভিব্যক্তি বা ‘রূপ তেরা মস্তানা’-র ঘোর লেগে যাওয়া রোম্যান্টিক নেশা তাঁর মধ্যে কই?

আচ্ছা, এমন নয় তো, যে চূড়ান্ত ভালনারেবল কিশোর, ঈষৎ জড়িয়ে যাওয়া গলায় তাঁর প্রাণের বন্ধুকে বলছেন, গায়ক কিশোরকুমার কোথাও যেন চাপা দিয়ে দিল অসম্ভব প্রতিভাবান, জড়তাহীন, স্বাভাবিক এক অভিনেতাকে?

একটা-দুটো তো নয়, অষ্টাশিটা ফিল্মে অভিনয় করেছেন। আর কী সে অভিনয়! কী স্বত:স্ফূর্ত, কী প্রাণবন্ত, ইনহিবিশন ফ্রি! আজকের দিনে দিবাকর ব্যানার্জী, অনুরাগ কাশ্যপ, মেঘনা গুলজাররা পেলে লুফে নিতেন এরকম একজন স্পন্টেনিয়াস অভিনেতাকে।

নিজে কি টের পাচ্ছিলেন হিমালয়-সদৃশ উঁচু তাঁর গায়ক-সত্বার কাছে চাপা পড়ে যাচ্ছে, দমবন্ধ হয়ে অপরিণত বয়সেই মৃত্যু ঘটছে এক অতুলনীয় অভিনয় সত্বার? নাকি গায়ক কিশোরকুমার খেয়াল করে দেখেননি অভিনেতা কিশোরকুমারের ক্ষমতা ঠিক কতখানি?

আন্দাজ করে বলা শক্ত কিশোরকুমার গাঙ্গুলির পেশাদার জীবনের সবচেয়ে বড় আফশোষ কী!

অন্য এক গাঙ্গুলির বেলায় যদিও এই আন্দাজ করাটা একটুও শক্ত কাজ নয়। ঠিকানা বদলে যদি বেহালার বীরেন রায় রোড করে দেওয়া যায়, তাহলে অনায়াসে বলে দেওয়া যায়, সেই বাড়ির ছোট ছেলেটির পেশাদার জীবনের সবচেয়ে বড় আফসোস ২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যাওয়া।

অত কাছে এসেও অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ ছুঁতে না পাড়ার যন্ত্রনা এই পঞ্চাশেও তাঁকে কুরে কুরে খায়, এটা বলতে কোনও বেজান দারুওয়ালা লাগে না।

ক্রিকেটের খবরে অন্তত একবার চোখ বুলোন এরকম যে কোনও বাঙালি (অর্থাৎ প্রায় সমস্ত বাঙালি) নিশ্চিত জানেন, সৌরভ যেদিন প্রথম ভারতের অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন, সেইদিন থেকে জাতীয় দলের নেতৃত্ব দেওয়াকেই সবচেয়ে বেশি সম্মানের ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ ভেবে এসেছেন!

এবং সেটা করেই ভুল করেছেন সৌরভ চণ্ডীদাস গাঙ্গুলি।

যদি স্বয়ং তিনি নিজের ব্যাটসম্যান সত্বার ওপরে নিজের অধিনায়ক সত্বাকে ঠাঁই না দিতেন, তাহলে আপামর ভারতবাসীও এত অনায়াসে ভুলতে পারত না যে শুধু এই দেশের নয়, এই উপমহাদেশের প্লেয়ারদের নিয়ে করা সর্বকালীন সেরা ওয়ানডে একাদশে বেহালার বাঁ-হাতি শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে হেঁটে-হেঁটে ঢুকে পড়তে পারেন।

কত অপপ্রচার, কত যুক্তিহীন তথাকথিত বিশেষজ্ঞ মন্তব্য, কত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সূক্ষ্ম বিদ্রূপ একজন স্পোর্টসম্যান-এর ক্যারিয়ার জুড়ে ক্রমাগত হয়ে যেতে পারে, তার জ্বলন্ত উদাহরণ সৌরভ গাঙ্গুলির কেরিয়ার।

এখনও ভারতের ক্রিকেট-অলিন্দে কান পাতলে ফিসফাস শোনা যায়, ‘যাই বলো বাপু, শর্ট বলটা ঠিকঠাক খেলতে পারত না।’

আচ্ছা, সারা বিশ্ব-ক্রিকেটে ক’জন ব্যাটসম্যান আছেন যাঁরা শর্ট বল ঠিকঠাক খেলতে পারেন?

আজহারউদ্দিন আর স্টিভ ওর ব্যাটিং পেডিগ্রি নিয়ে নিশ্চয়ই বিশেষজ্ঞরা নাক কুঁচকোবেন না। তাঁদের শর্ট বল খেলা দেখেছেন? দৃশ্যত: চোখ বুঝে কুৎসিতভাবে লাফাতেন। তাঁদের নিয়ে এত আলোচনা হয়?

কিংবা ধরুণ, মাইকেল বিভান? মহেন্দ্র সিং ধোনির আগে, আধুনিক ওয়ান-ডে ক্রিকেটের ফিনিশারদের বেঞ্চমার্ক! সারা জীবনে টেস্ট খেলতে পারলেন না এই শর্ট বল খেলার দুর্বলতার জন্য। কই, তাঁকে নিয়ে আলোচনা শুনেছেন এরকম?

জেনারেশন এক্স-এর চোখের মণি বীরেন্দ্র শেবাগের ব্যাপারে কী বক্তব্য? টেস্টে ওপেন করতে নেমে পঞ্চাশের কাছে গড় আর আশির ওপরে স্ট্রাইক রেট থাকা এই প্রতিভাবান ব্যাটসম্যানের শর্ট বল খেলার দুর্বলতা খালি চোখেই দেখা যেত। সেটা নিয়ে এরকম রেজিমেন্টেড প্রচার চোখে পড়েছে নাকি?

পড়েনি, কারণ হয়নি। ভুল বুঝবেন না। সৌরভ শর্ট বল ভাল খেলতেন এরকম যাঁরা বলবেন তাঁরা ক্রিকেট বোঝেন না। কিন্তু এই গোত্রের খেলোয়াড় তিনি একাই নন। বহু বিখ্যাত খেলোয়াড়ের সুবিদিত দুর্বলতা ছিল এই ব্যাপারে। অথচ প্রচারমাধ্যমের একমুখী ক্রমাগত প্রচারের ঝনঝনানি এমন যে কালকে প্রক্সিমা সেন্টাউরি-বি থেকে ‘পি.কে’ বা ‘জাদু’ এসে খবরকাগজের আর্কাইভ খুঁজলে মনে করবেন এই ন্যাটা ব্যাটসম্যানটিই একমাত্র, যে শর্ট বলে নড়ে যেত!
কেন?

আবার ধরুন, রানিং বিটুইন দ্য উইকেট্স! বাঙালি স্পোর্টস-বিশারদ যাঁরা কানাইদা-র চায়ের দোকানে বসে রোহন কানহাইয়ের লেট্-কাটের টেকনিক্যাল খুঁত ধরেন, পাঁচদিনের টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিনের লাঞ্চের পরেই অন্তিম নিদান হেঁকে দেন জলদগম্ভীর কণ্ঠে, তাঁরা বেশ কমল মিত্তিরের মত গলা করে দাগিয়ে দিতেন, ‘ছেলেটা আনফিট। দৌড়োতে পারে না একদম।’

ভিন রাজ্যের বিশেষজ্ঞরা? এমনকী সতীর্থরা? একবার কথাটা তুলুন! দেখবেন কী মোলায়েম ব্যঙ্গের হাসি দিয়ে বলবেন, ‘আরে দাদাকে বাত আলাগ হ্যায়!’

একদম অলঘ নেহি হ্যায়, বন্ধু।

স্প্রাইটের বিজ্ঞাপনটা মনে রাখুন এবং একটু তথ্য দেখুন। যদি জিজ্ঞেস করা হয়, ভারতের আজ পর্যন্ত খেলে যাওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে রানিং বিটুইন দ্য উইকেট্স কার সবচেয়ে ভাল, আন্দাজ করতে পারি, ২০১৯-এর নরেন্দ্র মোদী বা ২০২১-এর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একচেটিয়া জিতবেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।

হরিণের মত ক্ষিপ্র, কাঠবিড়ালির মতো টার্নিং-এর ক্ষমতা এবং নিখুঁততম জাজমেন্ট!

তা, এই ধোনির ওয়ানডেতে মোট আউটের কত শতাংশ রান-আউট… ৭.৫%! আর চূড়ান্ত আনফিট, দৌড়োতে না পারা আমাদের বঙ্গসন্তানের? ৮.৩%! খুব বেশি মনে হচ্ছে কি?

দু-ধরণের ক্রিকেট মিলিয়ে সৌরভের মোট রান ১৮৫৭৫। হিসেবে আরও দেখা যায় চার-ছয়ে এসেছে ৯৫৮২ রান। অতএব খুচরো রানে এসেছে ৮৯৯৩ রান। শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। আই.পি.এল বা ঘরোয়া ক্রিকেট বাদ থাকল। যে লোকটা প্রায় না-হাজার রান দৌড়ে নিয়েছে এবং তাতেও রান-আউট হওয়ার সংখ্যা বা শতকরা হিসেব সেরার বেশ কাছাকাছিই – তাঁর সম্বন্ধে এরকম তথ্যভিত্তিহীন প্রচার!

কেন?

আরও একটা মজার তথ্য— শুনতে প্রায় অবিশ্বাস্য লাগবে। তবু শুনে রাখুন, জেনে রাখুন। টেস্ট ক্রিকেটে যতজন ব্যাটসম্যান চার নম্বরে নেমে অন্তত ১০০০ রান করেছেন (অর্থাৎ মোটামুটি কিছু ইনিংস খেলেছেন এই ব্যাটিং পজিশনে) – তাঁদের মধ্যে সর্বোচ্চ গড় স্টিভ স্মিথ-এর।

আর তার পরের নামটা কার জানেন? ছেষট্টি গড় নিয়ে বসে আছেন ব্যাটসম্যান হিসেবে তেমন দর না পাওয়া এই বঙ্গসন্তান! তৎসত্ত্বেও কেরিয়ারের বেশিরভাগ সময় পাঁচ বা ছয়ে নেমেছেন বন্ধু সচিনকে তাঁর প্রিয় জায়গা ছেড়ে দিয়ে।

ওই যে বললাম, নিজের ব্যাটিংকে নিজেই তেমন গুরুত্ব দেননি কোনওদিন। তারই সুযোগ নিয়ে একটা সিস্টেমেটিক প্রচার ধীরে ধীরে তাঁর ব্যাটসম্যানশিপকে মিউজিয়ামে পাঠিয়ে দিয়েছে। এতটাই, যে উনিশ হাজার রান আর আটতিরিশটা আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির পরও কমেন্ট্রি বক্সে বা ইন্টারভিউতে তাঁকে ব্যাটিং নয়, ক্যাপ্টেন্সি নিয়েই কথা বলে যেতে হয়। এতটাই যে, এমনকী ঘোর গাঙ্গুলি ভক্তও ক্যাপ্টেন গাঙ্গুলির প্রশংসা করতে করতে ভুলেই যান ব্যাটসম্যান গাঙ্গুলির কথা।

কেন?

শুরুতে বলেছিলাম তরুণ তেজপালের কথা। বলেছিলাম ১৫ মে, ১৯৯৬-এর কথা। এই বিখ্যাত সাংবাদিক আউটলুক ম্যাগাজিনে একটি স্টোরি করেছিলেন যার হেডলাইন ছিল: ‘কিলিং অফ কাম্বলি!’

বড় ব্যথা ছিল এঁর প্রাণে উচ্ছৃঙ্খল মুম্বাইকার বাঁহাতি টিম থেকে বাদ যাওয়ায়। ব্যথার চেয়েও বেশি ছিল আশংকা। টিমে নতুন সুযোগ পেয়েছে তিন তরুণ: রাহুল দ্রাবিড়, বিক্রম রাঠোর এবং সৌরভ গাঙ্গুলি। কী হবে যদি এরা পায়ের তলায় জমি খুঁজে পায়?

সিনিয়র সাংবাদিক তাঁর প্রতিবেদনে সরাসরি নাম করে লিখলেন, ‘শেষের জনকে (পড়ুন সৌরভ গাঙ্গুলি) টিমে নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচকরা স্পষ্টতই তাঁদের অপরিসীম ঔদ্ধত্যের পরিচয় দিয়েছেন।’

সারা পৃথিবীর স্পোর্টস মিডিয়ার ইতিহাসে এরকম উদাহরণ আছে কিনা আমার জানা নেই। একটা নতুন প্লেয়ার… তার কেরিয়ার শুরুর আগেই এরকম নেগেটিভ কমেন্ট!!

কেন?

কোথাও একটা ভয় আছে, জানেন। কোথাও একটা সত্যিটা বেরিয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। কোথাও একটা ঢোঁক গিলে মেনে নেওয়ার চাপ আছে, যে ‘বাংগালি ভাগতা হ্যায়’ -কথাটা নিছকই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার!

কোথাও এখনও হাঁটু কেঁপে যায় ভাবলে যে, কেউ একজন এমন আছে, যে অনায়াসে জার্সি খুলে, কলোনিয়ালিস্ট প্রভুত্ববাদের ও বশংবদতার কানের গোড়ায় ঠাঁটিয়ে চড় কষিয়ে মোলায়েম ভাবে বলতে পারে, ‘বাপি, বাড়ি যা!’

কোথাও এখনও কেউ লঘুপায়ে এগিয়ে এসে ফাস্ট-বোলারকে বেমালুম এক্সট্রা-কভার দিয়ে তুলে দিয়ে বলতে পারে, ‘টেক দ্যাট!’

বলেছিলাম তরুণ তেজপালের কথা মাথায় রাখবেন। মনে আছে তো? সালটা ২০০০, মাসটা ফেব্রুয়ারী!
তেহেলকার স্টিং অপারেশন ফাঁস করল ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কথা! সেই ম্যাচ ফিক্সিং, যার সর্বনাশা ঢেউ সৌরভ গাঙ্গুলিকে বসিয়ে দিয়ে গেল ভারতের ক্রিকেট টিমের চূড়ায়!

কাব্যিক ন্যায়বিচার। যে সাংবাদিকের প্রতিবেদনে বিষ ঝরে পড়ছিল নবাগত খেলোয়াড়ের উদ্দেশ্যে, তারই করা রিপোর্ট পরোক্ষে সুবিচার দিয়ে গেল ভারতীয় ক্রিকেট টিমের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দলপতিকে।

ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম থেকে গৌরীকুঞ্জ কত আর দূরে হবে? একদিন গিয়ে বলে আসতেই পারেন, রোগা ঢ্যাঙা অমিতাভ বচ্চনকে আন্ডার-এস্টিমেট করাটা গাঙ্গুলিতুতো অন্য আইকনের হয়তো ভুলই ছিল।

যতই হোক –

রোতে হুয়ে আতে হ্যায় সব

হাসতা হুয়া যো যায়েগা

উও মুকদ্দর কে সিকান্দার

জানেমন কেহলায়েগা!

ওই রাগী ছেলেটার লিপেই। সৌরভ চণ্ডীদাস গাঙ্গুলির জীবনসংগীত!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link