ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে নিজের শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। তবে শেষটা সুন্দর করতে পারেননি তিনি; পাঞ্জাবের কাছে সাত উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে চেন্নাই সুপার কিংস। তিনি নিজেও পারেননি নিজের শেষটা রাঙিয়ে রাখতে পারেননি, চার ওভার হাত ঘুরিয়ে কোন উইকেট পাননি এদিন।
তবে বোলিং খারাপ করেছেন এই পেসার সে কথা বলার সুযোগ নেই। ইনিংসের সবচেয়ে ইকোনমিক্যাল বোলার ছিলেন, উইকেট না পেলেও ব্যাটারদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পেরেছেন। জয়ের সম্ভাবনা না থাকলেও তাঁর ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভার খানিকটা আশা জাগিয়েছিল সমর্থকদের মনে, শশাঙ্ক সিং আর স্যাম কারানকে সেই ওভারে কোন রান নিতে দেননি তিনি।
অবশ্য মুস্তাফিজের অতিরিক্ত ওয়াইড দেয়া চোখে লেগেছে, নিজের শেষ ওভারে চার চারটি ওয়াইড দিয়েছিলেন তিনি। কেবল এই ম্যাচেই নয়, যখনি বাড়তি কিছু করার চেষ্টা করেছেন তখনি তাঁর হাত থেকে বেরিয়ে এসেছে ওয়াইড ডেলিভারি। এমনকি চাপের মুখে নো-বল করার হার বেড়ে গিয়েছে; এসব নিয়ে তাই কাজ করতেই হবে তাঁকে।
তবে সবকিছুর উর্ধ্বে গিয়ে বলতে হয়, কাটার মাস্টারের আইপিএল মিশন সফলভাবেই কেটেছে। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় সবার উপরে আছেন জাসপ্রিত বুমরাহ, তাঁর চেয়ে দুই ম্যাচ কম খেলে সমান সংখ্যক উইকেট পেয়েছেন এই টাইগার তারকা। ২১.১৪ গড়ে ১৪ উইকেট – প্রশংসা তাই তাঁর প্রাপ্যই বটে।
চেন্নাইয়ের হয়ে এবার আইপিএলে অভিষেক আসর খেলেছিলেন তিনি। তবে নতুন দল কিংবা নতুন ড্রেসিংরুমে মানিয়ে নিতে সময় লাগেনি, প্রথম ম্যাচে প্রায় একাই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে হারিয়ে দিয়েছিলেন। সেদিন চার উইকেট শিকার করে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরষ্কার নিজের করে নিয়েছিলেন দ্য ফিজ।
যদিও বাংলাদেশের জার্সিতে একেবারেই বিবর্ণ সময় কাটাচ্ছেন তিনি। নিজের সেরা ছন্দের কাছাকাছিও নেই, এখন দেখার বিষয় আইপিএলে পারফরম্যান্স করার আত্মবিশ্বাস তাঁকে জ্বলে ওঠার জ্বালানি সরবরাহ করতে দেয় কি না। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁর ফর্মে ফেরাটা লাল-সবুজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার বটে, এখন সেটার অপেক্ষায় আছে ক্রিকেটপ্রেমীরা।