লম্বা একটা সময় ধরে অফ ফর্মে থাকার পর এই বছরের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) দিয়ে ছন্দে ফিরেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দলের গুটিকয়েক পারফরমারদের একজন ছিলেন তিনি। তাই তো ডিরেক্ট সাইনিংয়ে তাঁকেই বেছে নিয়েছিল লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের (এলপিএল) ফ্রাঞ্চাইজি ডাম্বুলা সিক্সার্স। কিন্তু প্রথম ম্যাচে রীতিমতো হতাশা উপহার দিয়েছেন তিনি।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ডেথ ওভার স্পেশালিষ্ট হিসেবে খ্যাতি পেয়েছিলেন এই বোলার। সময়ের সাথে সাথে তাঁর বোলিংয়ের ধার কমলেও সেই খ্যাতি বজায় আছে বটে। তবে এদিন খ্যাতির প্রতি সুবিচার করতে পারলেন না, এক ওভারেই দলকে ঠেলে দিয়েছেন পরাজয়ের দিকে। সবমিলিয়ে এলপিএল অভিষেকটা বিবর্ণ কাটলো তাঁর।
ষোলতম ওভারে এই বাঁ-হাতিকে আক্রমণে এনেছিলেন অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী, কিন্তু সেবার ছয় বলে তিনটি ছক্কা আর এক চার সহ মোট ২৩ রান হজম করেন তিনি। তাতেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়।
এর আগের ওভারেও নখদন্তহীন বোলিং করেছিলেন মুস্তাফিজ। দুই চার ও এক ছয়ের সুবাদে ১৬ রান দিয়েছিলেন তিনি। দলের অন্যতম স্ট্রাইক বোলারের এমন পারফরম্যান্স মোমেন্টাম বদলে দিয়েছিল বটে।
অথচ শুরুটা কি দারুণভাবেই করেছিলেন এই টাইগার ক্রিকেটার। এলপিএল অভিষেকের প্রথম বলেই উইকেট তুলে নিয়েছিলেন, পাকিস্তানি ব্যাটার মোহাম্মদ হারিসকে বাউন্সারে পরাস্ত করেছিলেন তিনি – দুর্দান্ত সূচনা পেয়েও তিন ওভার শেষে ৩-০-৪৪-১ ফিগার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো তাঁকে।
এখন দেখার বিষয়, ডাম্বুলা কতটা ভরসা রাখে এই তারোর ওপর। সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় অবশ্য তাঁকে আরো কিছু সুযোগ দিতেই পারে টিম ম্যানেজম্যান্ট, কিন্তু দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে বেঞ্চেই বসে থাকতে হবে তাঁকে।