স্বপ্নের মত শুরুর ছিল তাঁর। চমকে দেওয়ার মত ইতিহাস গড়েই সীমিত ওভারের ক্রিকেট শুরু করেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। জায়গা হয়েছিল টেস্ট দলে। সেখানেও প্রশংসনীয় সূচনাই ছিল।
তবে, মুস্তাফিজের সেই শুভ সূচনা এখন অতীত। বছর দেড়েক হল সাদা পোশাকের ক্রিকেটটা তিনি খেলেন না। টিম ম্যানেজমেন্টও তাকে কেবলই ‘সাদা বলের বোলার’ হিসেবে ভাবতে শুরু করেছে।
মুস্তাফিজ নিজেও স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন রঙিন পোশাকেই। বললেন, ‘আমি সব ফরম্যাটেই খেলতে চাই। যদিও জানি না যে, সেটা কীভাবে হবে। আপনার একই সাথে আমার শরীরের সহ্যক্ষমতাটাও বিচার করতে হবে। কখনো কখনো এমন হয় যে, লম্বা একটা সফর করতে হয়। সেখানে সব ফরম্যাটের খেলা থাকে। তখন ছোট ইনজুরি বিবেচনায় নিয়ে আমাকে বিশ্রাম দেয় টিম ম্যানেজমেন্ট। সেটা হয়তো সবাই জানতেও পারে না।’
মূলত ইনজুরিই পথের কাট হয়ে ওঠে মুস্তাফিজের। আর ভিন্ন কন্ডিশনে অনভ্যস্ততাও ছিল। গত বছরের মার্চে সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পর আর টেস্টে বিবেচিত হননি তিনি। ‘মুস্তাফিজের আর ধার নেই’ – এমন কথাও বলাবলি হতে থাকে।
মুস্তাফিজ অবশ্য টেস্ট থেকে আগ্রহ হারাননি। যদিও সীমিত ওভারের প্রতি তার পক্ষপাতিত্ব আছে।
বললেন, ‘কিন্তু এটা সত্যি না যে, আমি টেস্ট খেলতে চাই না। আমি বিশ্বাস করি, শুধু ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি খেলে কেউ গ্রেট খেলোয়াড় হতে পারে না। তাকে সব ফরম্যাটে আগে ভালো হতে হয়। ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি খেলতে আমার বেশি ভালো লাগে। অবশ্য এর মানে এই না যে, আমি টেস্ট খেলতে চাই না।’
২৫ ছুঁইছুই এই পেসার তাঁর পাঁচ বছরের ক্যারিয়ারে ৫৮ টি ওয়ানডে আর ৪১ টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। তবে, টেস্ট খেলেছেন মাত্র ১৩ টি।
যদিও, পাঁচ দিনের ক্রিকেটের মর্ম বোঝেন মুস্তাফিজ। বললেন, ‘টেস্টে সবসময় বোলারদের আরও ভালো করার সুযোগ থাকে। একটা স্পেল যদি খারাপও যায়, আপনি পরে আবার ভালো বল করার সুযোগ পাচ্ছেন। একটা স্পেল খারাপ বল করলে পরের স্পেলে ভালো করতে পারেন। ধরুন, এক স্পেলে আমি ৫ ওভারে ৫০ রান দিয়ে ফেললাম। পরের স্পেলে এসে ৫ রান দিয়ে ৫ ওভারে ৩ উইকেট নিতে পারি।’
ওয়ানডে আর টেস্টের পার্থক্য করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু সাদা বলে আপনি এই সুযোগটা পাবেন না। ওয়ানডেতে আপনি নয়টা ওভার ভালো করলেন, কিন্তু একটা ওভার খারাপ বল করলেই দলের খারাপ হয়ে যেতে পারে।’