টানা দ্বিতীয় দফা এনসিএল টি-টোয়েন্টি শিরোপা নিজেদের করে নিল রংপুর বিভাগ। নাঈম ইসলামের ব্যাট থেকে এসেছে জয়সূচক বাউন্ডারি। তাতে করে আট উইকেটে জয় পেয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। বেশ চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এনসিএল শিরোপাতে আবারও নিজেদের নাম খোদাই করল রংপুর বিভাগ।
ফাইনালে ওঠার পথটা মোটেও সহজ ছিল না রংপুরে। প্রথম পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে তাদের খেলতে হয়েছে সমীকরণের খড়গ মাথায় নিয়ে। সেই ম্যাচ জিতে তারা নিশ্চিত করে প্লে-অফে নিজেদের অবস্থান। তবে চতুর্থ দল হিসেবে। অর্থাৎ তাদেরকে খেলতে হয়েছে এলিমিনেটর ও দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচ।
দু’টো বাঁধা টপকে ফাইনালে আসা মোটেও সহজ নয়। তবে কঠিন পথটাই পাড়ি দিয়ে ফাইনালে পৌঁছায় আকবর আলীর দল। এরপর ফাইনালে টস ভাগ্যও সহায় হল। শিশিরের কথা মাথায় রেখে, প্রথমে বোলিংয়ে সিদ্ধান্ত রংপুরের অধিনায়কের। প্রথম ওভারেই দলনেতাকে সফলতা এনে দিলেন নাসুম আহমেদ।
আরেক প্রান্ত থেকে নাসির হোসেনও ভীষণ চাপ প্রয়োগ করতে থাকলেন। এনামুল হক বিজয়কে দূর্দান্ত থ্রো-তে রান আউট করে অধিনায়ক আকবরও এগিয়ে এলেন বোলারদের সহয়তায়। প্রথম দশ ওভারে খুলনা বিভাগের সংগ্রহ মোটে ৪৯ রান, চার উইকেট হারিয়ে। এরপর খানিকটা খেই হারায় রংপুরের বোলাররা।
মোহাম্মদ মিথুনের দৃঢ়তা ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরির ছোট্ট ক্যামিওতে শেষ অবধি ১৩৬ রান অবধি পৌঁছায় খুলনা, আট উইকেট হারিয়ে। লক্ষ্য মোটেও কঠিন কিছু ছিল না রংপুরের জন্য। সহজ কাজটা পানির মত তরল বানিয়ে ফেলেন নাসির হোসেন। বল হাতে ১৯ রানের বিনিময়ে এক উইকেট নেওয়া নাসির, ব্যাট হাতে খেললেন ৩১ বলে ৪৬ রানের ইনিংস।
ওপেনিং জুটি থেকে আসে ৬১ রান। সেখানেই ম্যাচের ভাগ্য অবশ্য ঠিক হয়ে যায়। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর বাকি দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন অভিজ্ঞ নাঈম ইসলাম। ৩২ বলে ৪০ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচের ফলাফল রংপুরের পক্ষে নিয়ে আসেন নাঈম। তার সাথে সঙ্গ দিয়ে গেছেন অধিনায়ক আকবর।
আর কোন উইকেট না হারিয়ে, জয়োৎসবে মেতে ওঠে রংপুর বিভাগ। টানা দ্বিতীয় দফা রুপালি শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছেন আকবর আলী। বন্ধুর একটা পথ পাড়ি দিয়ে পাওয়া এই শিরোপার মাহাত্ম্য ব্যাপক। তবে ফাইনালে স্পষ্ট ছিল রংপুরের দাপট।