পাকিস্তানের ওপেনিং জমে ক্ষীর। আর সেই জমাট উদ্বোধনী জুটির ভাঙন ঘটে নাসুম আহমেদের হাত ধরে। একাদশে ফিরেই নিজের ইম্প্যাক্ট রাখলেন বা-হাতি এই স্পিনার। দারুণ বোলিংয়ে লাগামহীন হতে দেননি পাকিস্তানের সংগ্রহ।
প্রায় দুই বছর পর জাতীয় দলের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন নাসুম আহমেদ। এই মুহূর্তে তিনি দলের প্রথম পছন্দের স্পিনার নন। টিম কম্বিনেশনের কারণে শ্রীলঙ্কা সিরিজেও জায়গা হয়নি একাদশে। তবে অপেক্ষার প্রহর অবশেষে যেন শেষ হল। পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনি ফিরলেন।
চার ওভার বল করে ২২ রান দিয়েছেন। নিয়েছেন দু’টো গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। পাকিস্তানের দুই ওপেনারকেই ফিরিয়েছেন তিনি। ৮২ রানের জুটি গড়ে ফেলেছিলেন শাহিবজাদা ফারহান ও সাইম আইয়ুব। বাংলাদেশের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যেতে পারে পাকিস্তানের সংগ্রহ- এমন সম্ভাবনা ছিল প্রবল। তবে সেটি হতে দেননি নাসুম।
প্রথম সাইম আইয়ুবের উইকেট তুলে নিয়ে ওপেনিং জুটি ভাঙেন। এরপর দারুণ ব্যাট করতে থাকা শাহিবজাদা ফারহানকেও নিজের উইকেটে পরিণত করেন। ৬৩ রান করা ফারহান ছিলেন দারুণ ছন্দে। তিনি আরও কিছুক্ষণ টিকে গেলে বাংলাদেশের জন্যে ঘোরতর বিপদ বয়ে নিয়ে আসতেন নিঃসন্দেহে।
দলের বাকি বোলারদের তুলনায় রান খরচাতেও কৃপণতার পরিচয় দিয়েছেন নাসুম। লম্বা বিরতিতেও নাসুমের পারফরমেন্সে পড়েনি কোন ভাটা। তিনি বরং প্রতিটা মুহূর্তেই প্রস্তুত থেকেছেন দলের জন্যে। সে প্রমাণই রাখলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে। অথচ সিরিজ আগে নিশ্চিত না হয়ে গেলে হয়ত, তার খেলারই কথা ছিল না এই ম্যাচ।
তবুও খেললেন নাসুম। তার বোলিংয়ের কল্যাণেই বরং পাকিস্তানকে ১৭৮ রানের মধ্যে আটকে রাখা সম্ভব হয়েছে শেষ অবধি। সাইমদের জুটি কিংবা ফারহানের ইনিংসের ব্যপ্তি আরও খানিকটা বেশি হলে নিশ্চয়ই তা বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা বাড়াত।