অযথাই এই নাসুম ছিল অবহেলিত

হাতুরুসিংহের বিদায়ের পর আবারও স্কোয়াডে এলেন নাসুম। একাদশেও সুযোগ পেলেন তিনি। আর এবারের সুযোগে নিজের সক্ষমতার সবটুকুই নিঙড়ে দিলেন।

এক বছর পর ফিরলেন। ফিরেই প্রথম বলে উইকেট তুলে নিলেন নাসুম আহমেদ। তার আগে ব্যাট হাতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। নিজের ভেতর একটা জেদ পুষে রেখেছিলেন যেন। সেই জেদকে পারফরমেন্সে রূপান্তরিত করলেন আরব আমিরাতের তপ্ত মরুভূমিতে।

ঠিক এক বছর আগে, কোন ধরণের ব্যাখ্যা ছাড়াই তিনি বাদ পড়লেন দল থেকে। একটা ধারণা ঘুরে বেড়াচ্ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। কোচ চান্ডিকা হাতুরুসিংহে গায়ে হাত তুলেছিলেন নাসুমের। এরপর থেকেই তিনি দলের বাইরে।

হাতুরুসিংহের বিদায়ের পর আবারও স্কোয়াডে এলেন নাসুম। একাদশেও সুযোগ পেলেন তিনি। আর এবারের সুযোগে নিজের সক্ষমতার সবটুকুই নিঙড়ে দিলেন। দলের ব্যাটিং অর্ডারের বেহাল দশা। লেজের দিকে ব্যাট করতে নেমে ২৪ বলে ২৫ রানের এক কার্যকর ইনিংস উপহার দেন। তবে তার মূল কাজটা ছিল বল হাতে।

বল হাতে নেওয়া মাত্রই বাজিমাত করেছেন বাঁ-হাতি এই স্পিনার। আফগানিস্তানের জমে যাওয়া পার্টনারশিপে ভাঙন ধরান নাসুম আহমেদ। সেদিকুল্লাহ অটলের উইকেট নিজের পকেটে পুরে নেন। অবশ্য সে কৃতিত্বে ভাগীদার মেহেদী হাসান মিরাজ। দুর্দান্ত এক ক্যাচ লুফে নেন তিনি। তাতে করে আফগানদের ৫২ রানের জুটিতে ফাটল ধরে।

প্রত্যাবর্তনকে রাঙিয়ে রাখতে চাইলেন তিনি। উইকেটের ট্যালিতে তিনি যুক্ত করেন আরও দুইটি উইকেট। আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে রানের খাতা খোলার আগেই তাকে পাঠিয়েছেন প্যাভিলিয়নে। দ্বিতীয় ওয়ানডের সমাপ্তিও ঘটে নাসুমের হাত ধরে।

আফগানিস্তানের শেষ উইকেটের পাশে লেখা হয়ে যায় নাসুমের নাম। মোহাম্মদ গজনফারকেও বোল্ড আউট করেন নাসুম আহমেদ। আর সেখানেই লেখা হয়ে যায় বাংলাদেশের বিজয় গাঁথা। শারজাহতে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম জয় পায় বাংলাদেশ। ৬৮ রানের জয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল টাইগাররা।

এই জয়ে ব্যাটে-বলে অবদান রাখলেন নাসুম। এতদিন ধরে তিনি অযথাই ছিলেন দলের বাইরে। স্রেফ একজন কোচের খারাপ ব্যবহারের মাশুল দিতে হল নাসুমকে। ক্যারিয়ারের স্বর্ণালী সময়ের একটি বছর অপচয় হয়েছে বাঁ-হাতি এই স্পিনারের। এই অপচয়ের খেসারত কে দেবে?

Share via
Copy link