লিঁওর কোচ ‘অশ্বিন’

রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং নাথান লিঁও – দুই দেশের দুই স্পিন কিংবদন্তি। অশ্বিন একটা সময় তিন ফরম্যাটে নিয়মিত খেললেও এখন মনোযোগ কেবল লাল বলেই, অন্যদিকে লায়ন তো অনেক আগ থেকেই টেস্ট স্পেশালিষ্ট। তবু স্ব স্ব অর্জন তাঁদের দিয়েছে কিংবদন্তিসম মর্যাদা। আধুনিক যুগের মুরালি-ওয়ার্নও বলা যায় দুজনকে।

দুই স্পিনারই এখন পাঁচশ টেস্ট উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করার দ্বারপ্রান্তে। অশ্বিনের প্রয়োজন ১১ উইকেট; অন্যদিকে অজি তারকার প্রয়োজন মাত্র চার উইকেট, সব ঠিক থাকলে পাকিস্তান সিরিজেই বিরল এই কীর্তি ছুঁয়ে ফেলবেন তিনি। এর আগে প্রতিদ্বন্দীর প্রতি ভূয়সী প্রশংসা করলেন এই ডানহাতি বোলার।

তিনি বলেন, ‘আপনি অশ্বিনের দিকে তাকান, তিনি একজন বিশ্বমানের বোলার এবং এমন একজনকে আমি তাঁর ক্যারিয়ারের শুরু থেকে নিবিড়ভাবে দেখেছি। আমরা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে অনেকবার মুখোমুখি হয়েছি। তিনি যেভাবে খেলেছেন তাতে কেবল শ্রদ্ধাই রয়েছে তাঁর রয়েছে। আমি অবশ্যই অশ্বিনের কাছ থেকে শিখেছি।’

এই অফ স্পিনার আরো বলেন, ‘আপনি যাদের বিরুদ্ধে খেলেন তাদের কাছ থেকে শেখার সুযোগ রয়েছে এবং এভাবেই অশ্বিন আমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোচদের একজন হয়ে উঠেছেন। এটা বেশ বিস্ময়কর যে আমরা দুজনেই একই সাথে পাঁচশ উইকেট পেতে যাচ্ছি। আশা করি আমাদের কর্মজীবনের শেষে আমরা একসাথে বসে আড্ডা দিব এবং এই ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলব।’

৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার নিজের ভবিষ্যত ভাবনা নিয়ে বলেন, ‘আমি কোন একটি সংখ্যা মাথায় রাখছি না। যতদিন পারি ক্রিকেট খেলতে চাই। ভারতে (টেস্ট সিরিজ) জিততে পারিনি, ইংল্যান্ডে জিততে পারিনি – এই দুটি জায়গায় সিরিজ জিততে চাই।’

সর্বশেষ অ্যাশেজে ইনজুরির কারণে বড় একটা সময়ের জন্য মাঠের বাইরে ছিলেন লিঁও। সেই ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমার এমন মানসিকতা ছিল যে কাফ মাসলের চোট থেকে সেরে উঠতে এমনভাবে কাজ করব যেভাবে কেউ আগে করেনি। আমি ব্যক্তিগতভাবে যে কাজ করেছি তাঁর জন্য সত্যিই গর্বিত, সেই সাথে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এবং ক্রিকেট নিউ সাউথ ওয়েলসকেও ধন্যবাদ। মানসিকভাবেও ভাল অবস্থানে আছি তা নিশ্চিত করার জন্য সম্ভাব্য সবকিছুই করা হয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link