জোর করে কি আর ভালবাসা হয়!

জাতীয় দল থেকে ছুটি নিয়ে ফ্রাঞ্চাইজি লিগে খেলা নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে অনেক ক্রিকেটারেরই। নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিশ্ব জুড়ে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলার লক্ষ্যেই।

কিন্তু এবার এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি), দেশের তিন খেলোয়াড়কে শাস্তির আওতায় এনেছে সংস্থাটি। শাস্তিপ্রাপ্ত এই তিনজন ক্রিকেটার হলেন মুজিবুর রহমান, নাভিন উল হক এবং ফজল হক ফারুকী।

জাতীয় দলের চেয়ে বিদেশি লিগকে প্রাধান্য দেয়ায় দুই বছরের জন্য তাঁদের এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে; একই সাথে ইতোমধ্যে ইস্যুকৃত এনওসিও প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। আবার এই ত্রয়ীর ২০২৪ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তিও বিলম্বিত করা হয়েছে।

মূলত মুজিব, নাভিনরা পরবর্তী কেন্দ্রীয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে আগ্রহী ছিলেন না। এবং তাঁরা ফ্রাঞ্চাইজি লিগে খেলার অবাধ স্বাধীনতার আবদার করে বসেছিল। আর এসব মোটেই পছন্দ হয়নি আফগান ক্রিকেট বোর্ডের, সেজন্যই কঠিন পথ বেছে নিয়েছে।

এই ব্যাপারে সংস্থাটি বলে, ‘আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সিদ্ধান্ত জাতীয় দলের অগ্রাধিকারের উপর গুরুত্ব আরোপ করে; দেশকে সবার ওপরে প্রাধান্য দেয়া এসিবির মূল্যবোধ এবং নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এসিবি ব্যক্তি স্বার্থের চেয়ে প্রত্যেক খেলোয়াড়কে এই নীতিগুলো বজায় রাখার এবং দেশের স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশ দেয়।

অবশ্য এখনো লিগেই সময় দিচ্ছেন মিস্ট্রি স্পিনার মুজিব। মেলবোর্ন রেনেগেডসের শিবিরে আছেন তিনি, দলটিও সমর্থন দিচ্ছে তাঁদের তারকাকে। পার্থ স্কচার্সের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও তাঁকে পাওয়ার আশা করছে রেনেগডস।

যদিও আইপিএলে এই আফগান ক্রিকেটারদের উপস্থিতি নিয়ে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কিছুদিন আগেই নিলামে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে নিয়েছিল মুজিবকে; অন্যদিকে, নাভিন আর ফারুকীকে যথাক্রমে রিটেইন করেছে লখনৌ এবং হায়দ্রাবাদ।

কিন্তু আফগান বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটারদের দ্বন্দ্ব তাঁদের আইপিএল ভবিষ্যতকে হুমকির মুখে ফেলেছে। এখন দেখার বিষয়, এই সমস্যার সমাধান হয় কি না। দুই পক্ষ সমঝতায় আসতে পারে নাকি পূর্ণ শাস্তির আওতায় আসতে হয় রশিদ খানের সতীর্থদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link