পেস বোলিংয়ে আগ্রাসন থাকবেই। আর তানজিম হাসান সাকিবের আগ্রাসনটাই তাই তো মূল সম্বল। আর সেই আগ্রাসনটাই সম্ভবত সহ্য হয়নি পাকিস্তানের মোহাম্মদ নওয়াজের। আর সেই সুবাদে রণক্ষেত্রে রূপ নিল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
ব্যাক অব দ্য হ্যান্ডে স্লোয়ার ডেলিভারি করেন সিলেট স্টাইকার্সের তানজিম সাকিব। খুলনার নওয়াজ বোকা বনে যান। ক্যাচ তুলে দেন জাকির হাসানের হাতে। ঠিক তখনই উত্তেজনার সূত্রপাত। আগের ওভারের শেষ বলেই নওয়াজের চার মারাটা পছন্দ হয়নি তানজিম সাকিবের।
তার ওপর বোলিং শুরুর আগেও বাউন্ডারি লাইনের বাইরে রাহকিম কর্নওয়ালের হাঁটাহাঁটি পছন্দ হয়নি নওয়াজের। তাই তো বোলিং লাইন আপ শুরু করার পরও থেমে যেতে হয় তানজিম সাকিবকে।
সাকিব তাই ফুঁসছিলেন। ক্ষোভটা দেখানো শুরু করেন আউট করেই। তিনি আউট করে নওয়াজকে দেখিয়ে দেন ড্রেসিংরুমের পথ। বিষয়টা এমন, ‘রাকিমকে নিয়ে খেলতে সমস্যা হচ্ছে তো খেলতে হবে না, মাঠের বাইরেই চলে যাও।’
এরপরই ক্ষেপে যান পাকিস্তানের নওয়াজ নওয়াজ। দু’জন দু’জনের দিকে এগিয়ে আসতে থাকেন, দু’জনেরই মেজাজ তখন চরমে। কিন্তু কেউ-ই পথ ছাড়তে নারাজ। তখনই পরস্পরের সাথে কাঁধের সাথে ধাক্কা লাগে।
তানজিম এমনিতেই নাচুনি বুড়ি, তারপর আবার ঢোলের বাড়ি। লেগে থাকা আগুনে ঘি ঢালা হয়ে গেছে। দু’জন ঘুরে গিয়ে আবারও তর্কাতর্কি লাগল। ক্রিকেট মাঠে এই ঘটনা খুবই দৃষ্টিকটু। দলের খেলোয়াড়রা এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।
যাওয়ার সময় আবারও নওয়াজকে ড্রেসিংরুমের জায়গা দেখিয়ে দেন তানজিম। নি:সন্দেহে এই ঘটনার জল অনেক দূর গড়াবে, বড় ধরণের জরিমানার শিকার হবেন দুই ক্রিকেটারই।