মায়েরা কখনও হারতে শেখেনি!

নি:সন্দেহে বিশ্ব ব্যাডমিন্টন পটেই এক অনুপ্রেরণার গল্প মাহুর শাহজাদ। আবারও দেখিয়ে দিলেন চিরায়ত সেই মাতৃ সত্ত্বার শক্তি। যারা কখনও হারতে শেখেনি। সমস্ত অসম্ভবের বিপরীতে পারে বিজয় ছিনিয়ে আনতে।

‘ডাক্তার আমাকে এই জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে নাম প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং চার মাস সব রকম কঠিন ট্রেনিং এড়িয়ে যেতে বলেছিলেন’ – এমনটাই বলছিলেন পাকিস্তানের জাতীয় নারী ব্যাডমিন্টন তারকা মাহুর শাহজাদ। তবে হার মানতে জানেন না মাহুররা।

সব বাঁধা পেরিয়েই জিতে নেন টানা অষ্টম জাতীয় নারী ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ। তবে, এবারের চ্যাম্পিয়নশিপ আগের সাতটির চেয়ে কিছুটা ভিন্ন ছিল। এবারের জয় যে তার একার নয়। গত মাসেই মা হয়েছেন তিনি।

একটা মাস আগে জীবনের ঝুঁকি নেয়া মাহুর বোধহয় ফুটফুটে মেয়ের চোখে চোখ রেখেই কোর্টে ফেরার জেদ করে বসেন। শারীরিক ভাবে অসম্ভব এ বাস্তবতাকে সাথে নিয়েই প্রতিদিন ন্যূনতম আধা ঘন্টা সময় কোর্টে দিতেন।

এখানেই কিন্তু শেষ না। চ্যাম্পিয়নশিপ চলাকালীন পেশিগত সুস্থতা নিশ্চিত করতে ম্যাচ শেষে নিতেন ফিজিওথেরাপি। এ সময়টায় মেয়েকে দেখভাল করতো তার বোন রাবিয়া।

প্রতিযোগিতা শেষে নিজের ফেসবুক পেজে পরিবার থেকে শুরু করে প্রতিটি আত্মীয়, কোচিং স্টাফকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি প্রতিটি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তাকেও ধন্যবাদ দেন ২৭ বছর বয়সী এ তারকা।

মাহুর ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে ব্যাডমিন্টনে অংশ নেন। সেবার পাকিস্তান দলের পতাকা বাহক হিসেবেও ছিলেন তিনি। তার আগের বছরেই নেপালে সাফ গেমসে রৌপ্য জেতেন।

এর বাইরেও মাহুরকে ২০১৪ এশিয়ান গেমসেও দেখা গেছে। পাশাপাশি ২০১৮ ও ২০২২ সালে কমনওয়েলথ গেমসেও অংশ নেন তিনি।

নি:সন্দেহে বিশ্ব ব্যাডমিন্টন পটেই এক অনুপ্রেরণার গল্প মাহুর শাহজাদ। আবারও দেখিয়ে দিলেন চিরায়ত সেই মাতৃ সত্ত্বার শক্তি। যারা কখনও হারতে শেখেনি। সমস্ত অসম্ভবের বিপরীতে পারে বিজয় ছিনিয়ে আনতে।

Share via
Copy link