ব্যাটিং অর্ডারে বিরাট-রোহিত নেই, নতুন অধিনায়ক শুভমান গিল, ইংল্যান্ড খেলবে নিজেদের ঘরের মাঠে, তবুও কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে ভারত। ইংল্যান্ড-ভারত মহারণে কেন ফেবারিট ভারত, চলুন দেখার চেষ্টা করি।
প্রথমত, ব্যাটিংয়ের জন্য ‘দুঃস্বপ্ন’ বলে পরিচিত ইংল্যান্ড কন্ডিশনটা এখন অনেকটাই পাল্টে গেছে। ২০২২ সালে বাজবলের হাত ধরে টেস্ট ক্রিকেটে বদলে গেছে অনেক কিছুই। ব্যাটারদের জন্য সহজ হচ্ছে, রান উঠছে দ্রুত, সেই সাথে ব্যাটিং গড় বেড়েছে চোখে পড়ার মতো।
২০১৯-২১ পর্বে ইংল্যান্ডে ব্যাটিং গড় ছিল ২৮.৭০, এখন তা ৩২.৪২। এর বিপরীতে বাকি দুনিয়ার ব্যাটিং গড় বেড়েছে সামান্যই। বোলিংয়ের ক্ষেত্রেও একই দশা, নতুন বলে সিমারদের দাপটও এখন আর অতটা নেই।
ভারতীয় ব্যাটারদের জন্য হয়তো বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে, কিন্তু ইংলিশ কন্ডিশন এখন আর একতরফা নয়। বিশেষ করে যখন প্রতিপক্ষের বোলিং এতটা শক্তিশালী।
জসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ, প্রসিদ কৃষ্ণ, অর্শদীপ সিং, শার্দুল ঠাকুর—ভারতের পেস ইউনিট এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা। বিপরীতে ইংল্যান্ড খেলবে ক্রিস ওক্স, ব্রাইডন কার্স, জশ টাং, জেমি ওভারটন আর স্যাম কুককে নিয়ে। ক্রিস ওক্স বাদে বাকিদের সম্মিলিত উইকেট সংখ্যা মাত্র ৪২টি।
তবে বুমরাহকে পাঁচ টেস্টে পাবে না ভারত। ইনজুরির কারণে ওয়ার্কলোডের ব্যাপারে এই দেশসেরা পেসারকে নিয়ে সচেতন টিম ম্যানেজমেন্ট।
ভারতের ব্যাটিং অর্ডারে বেশ বড়সড় পরিবর্তন আসবে। রোহিত-বিরাটের না থাকাটা বেশ ভোগাবে দলকে। তবে বিপক্ষ দলেও যে নেই অ্যান্ডারসন, ব্রডের মতো তারকারা। এমনকি আর্চার-উড জুটিও অনুপস্থিত থাকবে প্রথম ম্যাচে।
বোলিংয়ে অভিজ্ঞতা কিংবা সাম্প্রতিক ফর্ম—সবকিছুই কথা বলছে ভারতের পক্ষেই। তাই তো ব্যাটিং নিয়ে যতই প্রশ্ন উঠুক, বোলিং ইউনিটই হতে পারে তাদের মূল শক্তি। আর সেই শক্তিই পাঁচ টেস্টের এই রণক্ষেত্রে ভারতকে এগিয়ে রাখছে—সামান্য হলেও।