বিসিবি দায়িত্ব নেওয়ার পরই যেন চট্টগ্রাম রয়্যালস ভিন্ন এক দল। পাঁচজন নতুন খেলোয়াড় নিয়েছে দলটি। এর মধ্যে একজন স্থানীয় ক্রিকেটার ছাড়াও আছেন চারজন বিদেশি। তিনজনই পাকিস্তানের, একজন ব্রিটিশ
য়ার্স ড্রাফটে অবিক্রীত থেকে যাওয়ার হতাশা অবশেষে পেছনে ফেলে দলে জায়গা হয়েছে সাদমান ইসলামের। টপ অর্ডারে অভিজ্ঞতা ও স্থিরতা যোগ করতেই মূলত তার ওপর ভরসা রেখেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
সাদমানের সঙ্গে আরও চার নতুন খেলোয়াড় যুক্ত করেছে চট্টগ্রাম রয়্যালস। বিদেশি কোটায় পাকিস্তানের আসিফ আলী, আমির জামাল ও হাসান নওয়াজকে দলে ভিড়িয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। আসিফ আলী ও আমির জামাল এর আগেও বিপিএলে খেলেছেন, তবে হাসান নওয়াজের জন্য এটি হতে যাচ্ছে প্রথম বিপিএল অভিজ্ঞতা। এর বাদে আছেন ইংল্যান্ডের অ্যাডাম ম্যাথু রসিংটন।

এই চার নতুন সংযোজনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম রয়্যালস তাদের স্কোয়াডকে আরও শক্তিশালী ও ভারসাম্যপূর্ণ করে তুলেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দলের ভেতরের অস্বস্তিও কেটে গেছে। মালিকানা পরিবর্তনের ইস্যুতে এক ক্রিকেটার বলেন, ‘বিসিবি দায়িত্ব নেওয়ায় বেঁচে গেছি ভাই। গেলো দুইদিন অনেক টেনশনে ছিলাম।’
২০২০ সালের পর এই প্রথম বিপিএলে ফিরছেন সাদমান ইসলাম। এর আগে ঢাকা ডায়নামাইটস, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেললেও মাঝের কয়েক বছর টুর্নামেন্টের বাইরে ছিলেন তিনি। তবে বিপিএলে না খেললেও ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দিয়ে নিজেকে আলোচনায় রেখেছেন সবসময়।
সাম্প্রতিক ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টিতে ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। ছয় ম্যাচে ১৯২ রান করেছেন সাদমান, স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫১.১৮। এই আসরেই আসে একটি দৃষ্টিনন্দন শতক, যা তার ব্যাটিং সামর্থ্যের প্রমাণ দেয়।











