সাকিব-মুশি-রিয়াদ থেকে হৃদয়-জাকের-শামীম

সাকিব-মুশফিক-রিয়াদ থেকে এখন হৃদয়-জাকের-শামীম। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মিডল অর্ডার স্তম্ভ বদলে গেছে পুরোপুরি।

সাকিব-মুশফিক-রিয়াদ থেকে এখন হৃদয়-জাকের-শামীম। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মিডল অর্ডার স্তম্ভ বদলে গেছে পুরোপুরি। ট্রানজিশন পিরিয়ডের পর, এখন এই নতুন তিন জনই মিডল অর্ডারের ভরসার পাত্র। আর সেই ভরসা তারা নিজেরাই অর্জন করে নিয়েছেন।

চলতি বছরে এই তিন জনের টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যান বেশ আশাব্যাঞ্জক। যদিও তাওহীদ হৃদয়ের স্বভাবজাত ব্যাটিংয়ে ভাটা পড়েছে। তবে সেটাকে অফফর্ম বলে খানিকক্ষণের জন্যে এড়িয়ে যাওয়া যায় চাইলেই। গত বছরও প্রায় ১৩০ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছিলেন হৃদয়। কিন্তু চলতি বছরে সেই স্ট্রাইকরেট নেমে দাঁড়িয়েছে ১১৪-তে।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও একই ধারা চোখে পড়েছে। যেখানে তিনি ২০২৪ বিপিএলে রান করেছিলেন প্রায় ১৫০ স্ট্রাইকরেটে, সেখানে ২০২৫ সালে তিনি ব্যাটিং করেছেন ১৩০ স্ট্রাইকরেটে। এদিক থেকে অবশ্য শামীম হোসেন পাটোয়ারি উন্নতি হয়েছে বেশ।

সর্বশেষ বিপিএলে তার ব্যাটিং স্ট্রাইকরেট ছিল প্রায় ১৬০। অন্যদিকে তার আগের বছর তরুণ এই ব্যাটারের স্ট্রাইকরেট ছিল ১৪০। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিগত বছরে স্রেফ তিনটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। পর্যালোচনার জন্যে স্যাম্পল সাইজটা ছোট বটে। কিন্তু তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের তুলনায় স্ট্রাইকরেটে বেশ উন্নতি এনেছেন শামীম।

২০২৩ সালে যেখানে তিনি ১২০ এর একটু বেশি স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করেছেন, সেখানে ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত তার স্ট্রাইকরেট প্রায় ১৩৯। হৃদয়-শামীমরা একদিন বাংলাদেশ দলের হাল ধরবেন সেটা তো অনুমিতই ছিল। তারাই যে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ সাফল্য এনে দেওয়ার সারথি।

তবে এদের দুইজনের মাঝে জাকের আলি অনিক বেশ দ্রুততার সাথেই আস্থা অর্জন করে ফেলেছেন। তিন ফরম্যাটের দলেই তিনি নিয়মিত। মিডল অর্ডার সামলানোর গুরু-দায়িত্ব হরহামেশাই পালন করতে দেখা যায় তাকে। টি-টোয়েন্টিতে ব্যতিক্রম ঘটেনি।

২০২৪ সালে অভিষেকের পর থেকেই স্কোয়াডে থেকেছেন। একাদশে সুযোগে পেলেই নিজেকে প্রমাণের চেষ্টা করেছেন। সে চেষ্টা প্রতিফলিত হয়েছে বাইশ গজে। তার কারণেই আগ্রাসনের প্রতিশ্রুতি ধারাবাহিকতা পেয়েছে। যদিও তার স্ট্রাইকরেটের খুব একটা হেরফের ঘটেনি। ১২৭ থেকে ১৩৪ হয়েছে। উন্নতিই হয়েছে, অবনতি হয়নি এটাই বরং ইতিবাচক।

তবে হ্যা, এ কথা সত্য যে বাংলাদেশের ব্যাটারদের টি-টোয়েন্টি স্ট্রাইকরেটে বৈশ্বিক মানদণ্ডে ঢের পিছিয়ে আছে। তবে জাকেরা চাইলেই বরং নিজেদেরকে বিশ্বমানের আগ্রাসী ব্যাটার হিসেবে পরিণত করতে পারেন। সে সদিচ্ছা থাকা প্রয়োজন স্রেফ, সম্ভাবনাকে বাস্তবে রুপান্তরিত করতে হবে।

Share via
Copy link