দেড় দশক পর বাংলাদেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের সিরিজ জয়

নতুন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এলেন টস করতে। জিতেও গেলেন। তবে ম্যাচ আর জেতা হলো না তার। ২০০৮ সালের পর দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হারের স্বাদ পেলো বাংলাদেশ। ব্ল্যাকক্যাপস দাপটে বাংলাদেশকে হারতে হয়েছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে। ৯১ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় নিউজিল্যান্ড।

টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করবার সিদ্ধান্ত নেন নয়া অধিনায়ক শান্ত। তবে তার সেই সিদ্ধান্তের সুফল পাওয়ার আগেই সাজঘরে দুই ওপেনার। তিন ওভারের মাঝেই দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ। নিজের ওয়ানডে অভিষেকটা বড্ড সাদামাটা ভাবেই শেষ করেন জাকির হাসান। মাত্র ১ রান করেই প্যাভিলনে ফেরেন তিনি। অন্য ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাট থেকে আসে ৫ রান।

৮ রানে ২ উইকেট হারানো দলের ব্যাটিং ভার নিজের কাঁধে তুলে নেন এক ম্যাচের অধিনায়ক। তিনি একটা প্রান্ত আগলে রেখে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। তাওহীদ হৃদয়ের সাথে জুটি জমতে শুরুই করেছিল। তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দলীয় ৩৫ রানের মাথায় আউট হয়ে যান হৃদয়। বাংলাদেশের আসা-যাওয়ার মিছিল চলতেই থাকে।

তবে শান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যান ছোট ছোট হলেও জুটি গড়ে রানের চাকা সচল রাখার। সেটাই করেছেন তিনি। মুশফিকুর রহিমের সাথে ৫৩ রান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সাথে গড়েন ৪৯ রানের পার্টনারশিপ। সেসব দীর্ঘায়িত হয়নি বলেই চাপটা এসে পড়ে শান্তর কাঁধেই। তবুও তিনি দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিংটা করে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। আরও একটি পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলে ফেলেন শান্ত।

৭৬ রানে তিনি যখন থামেন, তখন দলীয় রান ১৬৮। পরবর্তী ৩ রান তুলতেই বাংলাদেশের নিজেদের শেষের ৩ উইকেট হারায়। বাংলাদেশের সংগ্রহ থেমে যায় ১৭১ রানে। ১৭২ রানের মামুলী টার্গেটে জয় ভিন্ন অন্য কিছুই চিন্তা করেনি ব্ল্যাকক্যাপসরা। তাইতো শুরুতেই খানিক দ্রুত রান তোলার মিশনে নামেন ফিল অ্যালেন ও উইল ইয়ং।

৪৯ রানের সেই জুটিতে প্রথম আঘাত করেন শরিফুল ইসলাম। ফিন অ্যালেনকে তিনি ফেরান ব্যক্তিগত ২৮ রানে। এরপরের বলেই শরিফুলের শিকার আরেক অভিষিক্ত ডিন ফক্সক্রফট। টানা দুই উইকেট শিকার করে ম্যাচে ফেরার সুযোগ তৈরি করে দেন শরিফুল। তবে ম্যাচে আর ফেরা হয়নি বাংলাদেশের।

পেছনের কারণ উইল ইয়ং। তার সাথে যুক্ত হন হেনরি নিকোলস। এই দুইজনের ৮১ রানের জুটিতেই ম্যাচে আর ফেরা হয়ে ওঠেনি বাংলাদেশের। দাপট বজায় থাকে সফরকারীদের। দূর্দান্ত এক বলে নাসুম আহমেদ বোল্ড করেন উইল ইয়ংকে। ৭০ রান করা ইয়ং আউট হওয়ার পরও খুব একটা বিপাকে পড়তে হয়নি নিউজিল্যান্ডকে। হেনরি নিকোলস ও টম ব্লান্ডেল জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link