পরিকল্পনা ঠিক, বাস্তবায়নে ভুল

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের আশা নিয়েই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। দলের পরিকল্পনাও সেরকমই ছিল। তবে মাঠে তাঁর বাস্তবায়ন করতে পারেনি বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে এক রাইলি রুশোই দুই দলের পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছে বিশাল ব্যবধানে। তবে এটাকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বাস্তবতা মনে করছেন সাকিব আল হাসান।

বাংলাদেশের বোলাররা বল ফেলার জায়গা পাচ্ছিলেন না রাইলি রুশোর সামনে। প্রায় সব বোলারকেই বাউন্ডারির ওপারে আঁচরে ফেলছিলেন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। এমনকি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও বল হাতে বেশ খরুচে ছিলেন আজ। তিন ওভারে খরচ করেছেন মোট ৩৩ রান।

তবুও নিজের বোলিং খুব খারাপ হয়েছে বলে মনে করছেন না সাকিব। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলছিলেন, ‘আমার মনে হয় না খুব খারাপ বল করেছি। রাইলি রুশো ছাড়া তো অন্য কোন ব্যাটসম্যানই বাউন্ডারি মারতে পারেনি। আর রুশো যেভাবে খেলছিল ওকে আটকানোর কোন উপায়ই ছিল না। বাংলাদেশের কোন বোলারকেই খেলতে ওর অসুবিধা হচ্ছিল না আজ।’

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে একজনই দলের জন্য ম্যাচ বের করতে পারেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে আজ যেটা করেছেন রুশো। রুশোর সামনে বাংলাদেশের সব পরিকল্পনাই ভেস্তে গেছে। তবে সাকিব মনে করেন তাঁদের পরিকল্পনা ঠিক থাকলেও মাঠে সেটাকে বাস্তবায়ন করা যায়নি।

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের পরিকল্পনা ঠিকই ছিল। আমরা শুধু মাঠে এক্সিকিউট করতে পারিনি। সেটা করতে পারলে আমাদের যে বোলিং অ্যাটাক ছিল তাতে যেকোন দলকেও ১৬০-১৭০ রানে আঁটকে রাখতে পারি। সেটা হলে ম্যাচের চেহারা অন্যরকম হতে পারতো।’

বোলারদের ব্যর্থতার পর ব্যাটাররাও কলাপ্স করেছেন। বাংলাদেশ অল আউট হয়ে গিয়েছে মাত্র ১০১ রানে। ফলে বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছে ১০৪ রানের বিশাল ব্যবধানে। যদিও এমন হারকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে খুব স্বাভাবিকই মনে করছেন সাকিব।

এই বিশাল হার নিয়ে তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তো এরকম হবেই। খেলাটা অনেক এন্টারটেইনিং, আবার এমন কঠিন দিন গুলোও আপনাকে হজম করতে হবে। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচেও কিন্তু এমন হয়েছে। নিউজিল্যান্ড দুইশো করলো এরপর অস্ট্রেলিয়াও কিন্তু কলাপ্স করেছে। এই ফরম্যাটে মাঝে মাঝে এমন হতেই পারে।

রাইলি রুশো ও কুইন্টন ডি কক আজ যখন ব্যাটিং করছিলেন তখন অসহায় হয়ে পড়েছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। এমনকি সাকিব নিজেও অনেক দেরিতে বোলিংয়ে এসেছেন। এর ব্যাখা দিতে গিয়ে তিনি বলছিলেন, ‘অনেক কিছু চিন্তা করতে হয় আসলে। আমি হয়তো আরেকটু আগে আসার কথা ভাবছিলাম কিন্তু মাঠের একটা সাইড ছোট ছিল। আর ভাবছিলাম আরেকটা উইকেট পড়লে আসব। এসব ভেবেই দেরি হয়েছে।’

সব মিলিয়ে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচেই কঠিন পরীক্ষার মধ্যে পড়েছে বাংলাদেশ দল। সাকিব স্বাভাবিক ভাবে দেখলেও এত বড় হার দলে একটা প্রভাব ফেলবে নিশ্চয়ই। এখন সামনের ম্যাচ গুলোতে যেন পরিকল্পনার বাস্তবায়নও মাঠে দেখা যায় সেই আশাই করতে হয়।

 

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link