ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের দৌরাত্ম বেড়ে যাওয়ার এই যুগে ক্রিকেটারদের বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ কই। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল), বিগ ব্যাশ লিগ (বিবিএল) সহ রং-বেরং এর ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাঁরা। সম্প্রতি পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) এর ড্রাফট উপলক্ষ্যে নিবন্ধিত ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
এই ড্রাফটে ২৫৪ জন বিদেশি ক্রিকেটারদের নাম রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশী রয়েছেন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার, তবে সবচেয়ে বড় নামটা ছিল সাকিব আল হাসান। ‘ছিল’ বলা হচ্ছে, কারণ এখন আর সাকিবের নাম নেই তালিকায়, হুট করেই পিএসএল থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি।
মূলত জাতীয় দলে পুরোপুরি সার্ভিস দিতেই ভিনদেশি লিগে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। এর আগে আইপিএলের নিলামের জন্য প্রকাশিত ক্রিকেটারদের তালিকাতেও ছিল না তাঁর নাম।
এই ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আইপিএলে নামও দেইনি। স্বাভাবিকভাবে এই একটা উইন্ডো (সময়) খোলা থাকবে আমার জন্য। পিএসএলে আমার ম্যানেজার যখন নাম দিয়েছিল, তখন আমি তাকে বলেছি নামটা সরিয়ে নিতে। পিএসএলেও আমার নাম নেই। পরিকল্পনা থাকবে পুরো সময়টাই যেন জাতীয় দলে দিতে পারি। আগে যে ফ্যাঞ্চাইজি যে টুর্নামেন্টগুলোতে খেলতাম হয়তো এগুলো আমি স্যাক্রিফাইস করব।’
পিএসএলের জন্য নিবন্ধিত তারকাদের কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। বিশজনকে রাখা হয়েছে প্ল্যাটিনাম বিভাগের অধীনে, এটিই ড্রাফটের সবচেয়ে মূল্যবান ক্যাটাগরি। বাংলাদেশি হিসেবে কেবল বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ছিলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ দামী খেলোয়াড়দের মাঝে। কিন্তু এখন সেটা অতীত, পাকিস্তানি লিগে খেলছেন না তিনি।
অবশ্য নিলামে নাম দিলেও পিএসএলে হয়তো খেলা হতো না তাঁর। কেননা বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান দুই দেশের টি-টোয়েন্টি লিগ যে একই সময়ে হতে যাচ্ছে। জানুয়ারির মধ্যভাগে বিপিএল শুরু হয়ে চলবে মার্চ পর্যন্ত, অন্যদিকে পিএসএল মাঠে গড়াবে ফেব্রুয়ারিতে আর ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে মার্চের শেষদিকে।