শচীন-বিরাট সবাই হয় না, কেউ কেউ রোহিতও হয়!

‘টেস্ট ক্রিকেট খেলতে ক্ষুধা থাকতে হয়’ – কথাট বলেছিলেন এমন একজন – যিনি ক্যারিয়ারের বড় একটা সময় টেস্ট খেলার সুযোগই পাননি। তবে, যখন একবার খেলা শুরু করেছেন – তখন বুঝিয়ে দিয়েছেন যথেষ্ট ক্ষুধা নিয়েই ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রবীন এই ফরম্যাটটিতে খেলতে নেমেছেন তিনি।

তিনি রোহিত শর্মা। ভারতের অধিনায়ক, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজে দ্বিতীয়বারের মত তিন অংকের ম্যাজিকাল ফিগারে পৌঁছে গেলেন তিনি। টেস্টের ক্ষুধা তো এমনই হওয়া চাই।

ধর্মশালায় ক্যারিয়ারের দ্বাদশ টেস্ট সেঞ্চুরি পাওয়ার আগেই রোহিত শর্মা পৌঁছে গেছেন সাদা পোশাকের ক্রিকেটে চার হাজার রানের মাইলফলকে। একটা ডাবল সেঞ্চুরিও আছে। কে জানে, ক্যারিয়ারে আরেকটু আগে থেকে টেস্ট খেলা শুরু করলে হয়তো এই ফরম্যাটেও ক্যাারিয়ারটা আরও দানবীয় হয়ে উঠত।

যাক, সেটা না হলেও একেবারে ‘ফিনিশড’ তিনি হননি। বরং যত পুরনো হয়েছেন – ততই যেন তাঁর ব্যাটের বেড়েছে ক্ষুধা, রান করার ক্ষুধা। বেড়েছে নেশা, নিজেকে লাল বলের ক্রিকেটে প্রমাণ করার নেশা।

আর সেটা করতে গিয়ে অনেক রেকর্ডও এসে লুটিয়ে পড়েছে রোহিত শর্মার পায়ের নিচে। ক্যারিয়ারের অর্ধেক মানে ছয়টি টেস্ট সেঞ্চুরি তিনি করেছেন ২০২১ সাল থেকে। এটা এই সময়ে ভারতের সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা শুভমান গিল করেছেন চারটি।

ইংল্যান্ড বরাবরই টেস্ট ক্রিকেটে রোহিত শর্মার প্রিয় প্রতিপক্ষ। তাঁদের বিপক্ষে করেছেন চারটি সেঞ্চুরি। এটাও ভারতের রেকর্ড। সমান চারটি সেঞ্চুরি নিয়ে তাঁর সাথেই আছেন স্বয়ং সুনীল গাভাস্কার।

ওপেনারদের হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি করার রেকর্ডটা চাইলে রোহিত ছুঁয়েই ফেলতে পারেন। সেখান থেকে মাত্র ছয়টা সেঞ্চুরি দূরে আছেন তিনি। ৪৯ টি সেঞ্চুরি নিয়ে সবার ওপরে আছেন সদ্য অবসর নেওয়া অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। ৪৫ টি সেঞ্চুরি নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন শচীন রমেশে টেন্ডুলকার।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরির হাফ সেঞ্চুরি করার দুয়ারেও দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। রোহিতের সেঞ্চুরি এখন ৪৮ টা। ভারতীয়দের মধ্যে সামনে আছে কেবল দু’টি নাম – শচীন টেন্ডুলকার, যার সেঞ্চুরি ১০০ টি। অন্যদিকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিরাটের সেঞ্চুরি ৮০ টি।

রাহুল দ্রাবিড়েরও ছিল ৪৮ টি সেঞ্চুরি। শচীন বা বিরাটকে ছুঁতে না পারলেও এরই মধ্যে যে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন বীরেন্দ্র শেবাগ, সৌরভ গাঙ্গুলি কিংবা সুনীল গাভাস্কারদের মত গ্রেটদের – সেটাই বা কম কি!

শচীন-বিরাট সবাই হয় না, কেউ কেউ রোহিতও হয়!

 

লেখক পরিচিতি

সম্পাদক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link