তিনি রানেই থাকেন, কিন্তু, কিভাবে সেই রানটা আসে সেটা নিয়েই সকল আলোচনা। হ্যাঁ, তিনি তামিম ইকবাল। মিরপুরে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন , কিন্তু ৬৯ রানের ইনিংস খেলতে লাইফ পেয়েছেন চারবার।
জাতীয় দলে নেই তামিম ইকবাল, তবে আছেন আলোচনা আর সমালোচনায়। তবে তামিমের ব্যাট প্রতি ম্যাচেই জানান দিচ্ছে তার উপস্থিতি। ব্যাট বলছে, মাঠে আছেন তামিম ইকবাল।
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের এবারের আসরে একের পর এক বড় ইনিংস খেলে যাচ্ছেন তামিম ইকবাল। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে তামিম ৭০ বলে ৯৮.৫৭ স্ট্রাইক রেটে করেন ৬৯ রান। যেখানে ছিল ৫ টি চারের মার। সাইফ হাসানের বলে নুরুল হাসান সোহানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাঝঘরে ফিরেন তামিম।
তবে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে এই ম্যাচটি তামিমের জন্যে স্মরণীয় হয়েই থাকবে। কেননা, শেখ জামালের বিপক্ষে তিন-তিনবার তাঁর তুলে দেওয়া ক্যাচ মিস হয়। আর একটি রান আউটও করতে ব্যর্থ হয় শেখ জামাল। মানে, মোট চারবার লাইফ পেয়ে ৬৯ টি রান সংগ্রহ করেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটার। শেষ অবধি আউট হন ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান সাইফ হাসানের বলে।
তামিম ইকবাল ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বরে সবশেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলেন। সেটা ছিলো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। তার পর আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে গেছে তার ক্যারিয়ার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবসরে যেয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে আবার ফিরে আসা। এর পর বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া— নানা ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্ম হয়েছে ঐ সময়ে।
সম্প্রতি তামিম ইকবালের দলে ফেরা নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের(বিসিবি) প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন কথা বলেছেন। তিনি জানান, তামিমের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে সবাই দলে পেতে চায়।
এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘আমরা গণ্ডির মধ্যে রয়েছি। যে কোনো ক্রিকেটারের সঙ্গেই আমাদের হাই-হ্যালো হয়। তামিমকে কে না দলে চায়, সবাই তাকে দলে চায়। তার সঙ্গে বোর্ড সভাপতি কথা বলবেন। বোর্ড সভাপতি সরাসরি ব্যাপারটা দেখছেন। আমরা কথা বলতে পারি; কিন্তু দায়িত্ব নিয়ে কোনো কিছু করার ওই জায়গায় আমরা নেই।’