দৃঢ়তাই শশাঙ্ক রাজার সাফল্যের মূলমন্ত্র

'আমি যখন মাঠে নামি তখন আমিই সবচেয়ে সেরা। আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম'-শশাঙ্ক সিং

কথায় আছে, ‘যেখানেই পাইবে ছাই উড়াইয়া দেখিবে তাই, পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন।’ হ্যাঁ, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের নিলামে পাঞ্জাব কিংস ভুল করে ছাই উড়িয়েছিল, তবে তাঁরা অমূল্য রত্ন পেতে ভুল করেনি। তাঁরা শশাঙ্ক সিং চেয়ে রত্ন হিসেবে আরেক শশাঙ্ক সিং পেয়ে যায়।

আইপিএলের সতেরো তম ম্যাচে গুজরাট টাইটান্স ২০ ওভারে ২০০ রানের টার্গেট ছুড়ে দেয় পাঞ্জাব কিংসকে। ১ বল আর তিন উইকেট হাতে রেখেই পাঞ্জাব তাঁদের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। তবে সেই পাঞ্জাবের শশাঙ্ক সিং রীতিমত গুজরাটের বোলারদের উপর তান্ডব চালিয়েছেন। তিনি  ২৯ বলে ২১০.৩৪ স্ট্রাইক রেটে ৬ চার আর ৪ ছক্কায় খেলেন ৬১ রানের এক দানবীয় ইনিংস। সেই সাথে হন ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ।’

পরাজয়ের দ্বার প্রান্ত থেকে দলকে জয়ের স্বাদ এনে দেয়ার পর শশাঙ্ক তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করেন। ঐ মুহূর্তে কোচের দেয়া পরামর্শ কিভাবে কাজে দিয়েছে শশাঙ্ক তাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘দল যখন হারতে থাকে, তখন ভাল-মন্দ অনেক কিছুই কল্পনা করছিলাম।  যখন তা বাস্তবে পরিণত হয়েছে তখন তা শুধুই গর্বের মুহূর্ত। কোচ আমাকে প্রতিটি বল বুঝে খেলতে বলেন।’

উইকেট আর তাঁর আত্মবিশ্বাস নিয়ে শশাঙ্ক বলেন, ‘উভয় দলই ২০০ করে রান করেছে। তাই বোঝাই যাচ্ছে উইকেটটা বেশ ভাল ছিল। ঠিকঠাক বাউন্স হচ্ছিল। ম্যাচে অনেক কিংবদন্তী খেলোয়াড় রয়েছে। তবে আমি যখন মাঠে নামি তখন আমিই সবচেয়ে সেরা। আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আর দলের কোচ, স্টাফরা আমাকে বেশ সাহায্য করেছে।’

ম্যাচ সম্পর্কে দলের অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান বলেন, ‘এটা খুবই কঠিন একটা ম্যাচ ছিল। তবে এই দুই তরুণ তাঁদের কাজটি করে দিয়েছে। বেশ ভাল একটা শুরুর পরিকল্পনা ছিল আমদের। তবে আমি আগে আগেই আউট হয়ে পড়ি।’

শশাঙ্ক সিং আর ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে দুর্দান্ত ইনিংস খেলা আশুতোষ শর্মার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আমরা যখন নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকি, তখন শশাঙ্ক দলের হাল ধরে। চমৎকার একটি ইনিংস খেলে সে। যখন আপনি রান তাড়া করতে নামেন, তখন স্থির মানসিকতা অত্যন্ত জরুরী।’

আশুতোষও দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছে। এই দুই তরুণ ঠান্ডা মাথায় দলকে বিজয়ের স্বাদ এনে দিয়েছেন।

 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...