মাঠের খেলায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বিরাজ করছে রংপুর রাইডার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মধ্যে। দশম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দুই দলেরই পয়েন্ট সমান। মাঠের ভেতরের সুস্থ সেই লড়াই ছাপিয়ে এবার ঘটে গেছে অনাকাঙ্ক্ষিত একটা ঘটনা। মাঠের বাইরেও ছোটখাটো লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন দুই দলের দুই খেলোয়াড়।
ঘটনাটা ঘটেছে চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু হোটেলে। বিপিএলের পাঁচটি দল চট্টগ্রাম পর্বের জন্যে ঘাটি গেড়েছে পাঁচ তারকা হোটেলটিতে। স্বাভাবিকভাবেই মাঠের বাইরে খেলোয়াড়দের মধ্যে থাকে সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান। কিন্তু রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান জড়িয়ে পড়েন বাকবিতণ্ডায়। এরপর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিদেশি খেলোয়াড়ের সাথে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটিয়েছেন রংপুরের অধিনায়ক।
মূলত ভুল করেই সোহান ঢুকে পড়েছিলেন কুমিল্লার বিদেশি খেলোয়াড়ের রুমে। সোহান বিভ্রান্ত হয়ে নিজের জন্যে বরাদ্দকৃত রুম ভেবে বসেছিলেন। অগ্যতা দুইজনের মধ্যে কথার আদান প্রদান ঘটে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। যদিও সেই ঘটনাকে বেশিদূর এগোতে দেননি আশেপাশে থাকা বাকিরা। সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সোহানকে।
এ বিষয়টি গোয়েন্দা সংস্থা ও হোটেল কর্তৃপক্ষও নিশ্চিত করেছে দেশের শীর্ষ স্থানীয় একটি গণমাধ্যমকে। মূলত নিছকই এক বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেছেন তারা। তবে এমন ঘটনা এড়ানো যেত বলেই অভিমত প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ প্রত্যক্ষদর্শী। তাদের ভাষ্যমতে নুরুল হাসান সোহান চাইলেই আরেকটু সংযত হতে পারতেন। ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে সরে যেতে পারতেন ঘটনাস্থল থেকে। তাতেই এড়ানো যেত এমন নেতিবাচক পরিস্থিতি।
সাধারণত একই হোটেলে থাকলে খেলোয়াড়রা নিজেদের মধ্যে আড্ডায় মেতে ওঠেন। মাঠের ভেতরের চাপকে সরিয়ে খানিকটা নিজেদের মত করেই সময় পার করেন। পরবর্তী ম্যাচের আগে নিজেদের মস্তিষ্ক সেই সাথে শরীরকেও বিশ্রাম দেন। ফুরফুরে মেজাজে থাকার জন্যে খুনশুটি, হাসিঠাট্টা করে থাকেন। সেটা দলের গণ্ডি পেরিয়ে যায় অধিকাংশ সময়ে।
তবে এমন ঘটনা নিশ্চিতরুপেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিপিএল তথা বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের প্রতি এক বিরুপ ধারণা দেয় বিদেশী খেলোয়াড়দের। অথচ হওয়ার কথা ছিল উল্টোটা। মাঠের লড়াইটা কোন কোনভাবে সম্ভবত প্রভাবিত করছে খেলোয়াড়দের। তাইতো মাঠ পেরিয়ে রাগ-ক্ষোভ চলে যাচ্ছে টিম হোটেল অবধি। কিন্তু, বাঙালিরা তো অতিথিপরায়ণ বলেই পরিচিত। তাই, এমন ঘটনা সত্যিই খুব নেতিবাচক।