নিউজিল্যান্ডের লঙ্কা জয়

দুই দলেরই সুপার টুয়েলভের শুরু জয় দিয়ে। নিউজিল্যান্ড নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ও শ্রীলঙ্কা হারিয়েছিল আয়ারল্যান্ডকে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে হোঁচট খায় শ্রীলঙ্কা। অপরদিকে বৃষ্টির কারণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয় বঞ্চিত হয় কিউইরা। এবার নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৬৫ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালের পথে আরেক ধাপ এগোলো কেইন উইলিয়ামসনের দল। 

আগের দিনে মেলবোর্নের বৃষ্টির হতাশা পেছনে ফেলে সিডনিতে এদিন যথাসময়েই খেলা শুরু হয়। টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন। তবে টপ অর্ডারের ব্যাটিং বিপর্যয়ে অধিনায়কের সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে ফিরে আসে। দলীয় ১৫ রানেই তিন উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ড পাওয়ারপ্লের ছয় ওভার শেষে মাত্র ২৫ রান তোলে। 

নিউজিল্যান্ডের বিপর্যয় আরও দীর্ঘ হতে পারতো। তবে সপ্তম ওভারের শেষ বলে গ্লেন ফিলিপসের ক্যাচ ছেড়ে দেন পাথুম নিশাঙ্কা। শুরুতেই খেই হারানো নিউজিল্যান্ডের হাল ধরেন ড্যারেল মিশেল ও গ্লেন ফিলিপস।

অলরাউন্ডার ড্যারেল মিলশে ব্যাট হাতে তেমন একটা সুবিধা করতে না পারলেও গ্লেন ফিলিপসের উইলোবাজিতে ম্যাচে ফিরে আসে ব্ল্যাকক্যাপসরা। পনেরোতম ওভারের তৃতীয় বলে ড্যারেল মিশেল ২৪ বলে ২২ করে ফিরে গেলে তাদের ৮৪ রানের জুটি ভেঙে যায়। 

শেষ দশ ওভারে রীতিমত বিধ্বংসী ছিলেন গ্লেন ফিলিপস। ইনিংসের শেষের অর্ধে নিউজিল্যান্ডের করা ১১২ রানের মধ্যে ৮৫ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ১৮তম ওভারে মাহিশ থিকসানার বলে চার মেরে শতক পূর্ণ করেন তিনি।

শেষ দিকে আর কোনো ব্যাটার তেমন ভাল করতে না পারলে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৭ রানে থামে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। ১৩ রানের সময় জীবন পাওয়া গ্লেন ফিলিপস ৬৪ বলে ১০৪ রান করে থামেন। শ্রীলঙ্কার কাসুন রাজিথা ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে দুই উইকেট তুলে নেন। 

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই তিন উইকেট হারানো লঙ্কানরা পাওয়ারপ্লের ছয় ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ২৪ রান তোলেন। সপ্তম ওভারে চামিরা করুনারত্নে আউট হয়ে গেলে ভানুকা রাজাপাকসে ও অধিনায়ক দাসুন শানাকা মিলে দলকে উদ্ধার করেন। এ দুজনের জুটিতে ৫০ রান পার করলেও দশম ওভারের শেষ বলে আউট হয়ে যান ভানুকা রাজাপাকসে।

লকি ফার্গুসনের বলে অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপর লঙ্কান অধিনায়ক একা একপ্রান্তে চেষ্টা করলেও অপরপ্রান্তে উইকেট হারাতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ১৭তম ওভারে ৩২ বলে ৩৫ করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে ক্যাচ দিয়ে দাসুন শানাকা আউট হয়ে গেলে লঙ্কানদের পরাজয় নিশ্চিত হয়।  ১৯.২ ওভারে ১০২ রানে অলআউট হয় তারা। 

ভানুকা রাজাপাকসে ২২ বলে ৩৪ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের কোনো বোলারের তৃতীয় সেরা বোলিং এটি।

এই জয়ে এক নম্বর গ্রুপে  নিজেদের শীর্ষ অবস্থান আরও সুসংহত করলো নিউজিল্যান্ড। তিন ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট পাঁচ। অপরদিকে তিন ম্যাচে দুইটিতে হেরে পঞ্চম অবস্থানে আছে শ্রীলঙ্কা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link