আইপিএলের ‘দুর্ভাগা’ পাঁচ

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) মানেই তারকা ক্রিকেটারদের মিলনমেলা। বিভিন্ন দেশের তারকা ক্রিকেটাররা এই লিগে খেলে থাকেন। আইপিএলকে সবচেয়ে আনপ্রেডিক্টেবল লিগও বলা যায় কারণ কোন আসরে কে সবচেয়ে বেশি মূল্য পাবে সেটা ধারণা করাও বেশ কঠিন। তবে বছরের পর বছর আইপিএলে অনেক তারকা ক্রিকেটার অবিক্রিত থেকে যান।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) মানেই তারকা ক্রিকেটারদের মিলনমেলা। বিভিন্ন দেশের তারকা ক্রিকেটাররা এই লিগে খেলে থাকেন। আইপিএলকে সবচেয়ে আনপ্রেডিক্টেবল লিগও বলা যায় কারণ কোন আসরে কে সবচেয়ে বেশি মূল্য পাবে সেটা ধারণা করাও বেশ কঠিন। তবে বছরের পর বছর আইপিএলে অনেক তারকা ক্রিকেটার অবিক্রিত থেকে যান।

আইপিএল নিলামে অবিক্রিত থেকেছেন – এই তালিকায় অনেক কিংবদন্তিও আছেন। এর মধ্যে কেউ কেউ কখনো আইপিএলে সুযোগই পাননি আর, কেউ কেউ আবার পেয়ে ইতিহাসও গড়েছেন।

  • কাইরেন পোলার্ড (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

আইপিএলে বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে অন্যতম সফল এই ক্রিকেটার ২০০৯ আসরের আইপিএলে অবিক্রিত থেকেছিলেন। আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা অলরাউন্ডারদের একজন এই পোলার্ড। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে পরবর্তীতে পাঁচবার শিরোপা জেতেন তিনি। সম্প্রতি আরেক ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার ডোয়াইন ব্রাভো জানান ২০০৯ সালে পোলার্ড অবিক্রিত থাকার পর তিনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে পোলার্ডের ব্যাপারে রিকোমেন্ড করেছিলেন।

  • স্টিভেন স্মিথ (অস্ট্রেলিয়া)

২০০৯ আসরে পোলার্ডের মতো সুযোগ পাননি অজি সুপারস্টার স্টিভেন স্মিথ। ৭৫ হাজার ইউএস ডলার ভিত্তিমূল্য থাকলেও নিলাম থেকে কেউই কিনেননি স্মিথকে। তখন স্মিথ দলে মূলত লেগ স্পিনার এবং লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ফরেইন স্পিনার হিসেবে নিলামে তখন কোনো দলই তাকে কিনতে আগ্রহ দেখায়নি।

  • ব্রায়ান লারা (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

২০১১ আইপিএল নিলামে ব্রায়ান লারা অবিক্রিত ছিলেন। তার সময়ের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন ছিলেন তিনি এমনকি সর্বকালের সেরাদের কাতারেও তিনি থাকবেন। সম্প্রতি রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ লিজেন্ডসের নেতৃত্ব দিতেছিলেন তিনি। ২০১১ আইপিএলে লারাকে নিয়ে ক্রিকেটভক্তদেরও বেশ প্রত্যাশা ছিলো তাকে বেশ চড়ামূল্যেই নেওয়া হবে! কিন্তু সেবার কোনো ফ্র‍্যাঞ্চাইজিই তাকে দলে নিতে আগ্রহ দেখায়নি।

  • জেমস অ্যান্ডারসন (ইংল্যান্ড)

নিলামে অবিক্রিত থাকাদের দলে আছেন ইংল্যান্ডের স্যুইং কিং খ্যাত পেসার জেমস অ্যান্ডারসন। ২০১১ আইপিএলের নিলামে এই পেসার অবিক্রিত ছিলেন, যদিও তিনি তখন সাদা বলের ক্রিকেটে ইংলিশদের নিয়মিত মুখ ছিলেন। তবুও কোনো ফ্র‍্যাঞ্চাইজি তাঁকে দলে নিতে আগ্রহ দেখায়নি। এরপর অবশ্য আর কখনোই আইপিএল খেলার সুযোগ পাননি এই ইংলিশ পেসার।

  • লাসিথ মালিঙ্গা (শ্রীলঙ্কা)

২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কা দলকে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লাসিথ মালিঙ্গা। তার অধিনায়কত্ব আর ফাইনালে ডেথ ওভারের দূর্দান্ত বোলিংয়ে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হওয়া সেই আসরে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জেতে লংকানরা। আইপিএলেও মালিঙ্গা সেরা বোলারদের একজন হিসেবেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। পুরো আইপিএল ক্যারিয়ারে তিনি শুধুমাত্র মুম্বাইর হয়েই খেলেছেন এবং আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিও তিনি।

২০১৮ সালে মুম্বাই তাঁকে রিলিজ করার আগ পর্যন্ত তিনি মুম্বাইয়ের হয়ে আইপিএল খেলেন। ২০১৮ সালে কোনো ফ্র‍্যাঞ্চাইজি নিলামে তাঁকে দলে নেয়নি, সেই আসরে তিনি মুম্বাইর বোলিং মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে আবার মুম্বাইয়ের খেলোয়াড় হয়েই তিনি আইপিএলে ফিরে শিরোপা জয় করেন।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...