নতুন বছরে বিপিএল!

জৈব সুরক্ষা বলয় নিশ্চিত করে দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কার সাথে সফল ভাবে সিরিজ আয়োজন করেছে বিসিবি। বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই এবার বিপিএল আয়োজন করতে চান তারা।

জৈব সুরক্ষা বলয় নিশ্চিত করে ৩১ মে থেকে শুরু হচ্ছে দেশের ঐতিহ্যবাহী ঘরোয়া টুর্নামেন্ট ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ। আসন্ন এই টুর্নামেন্টটি সফল ভাবে শেষ করতে পারলে আগামী জানুয়ারিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়াম লিগ (বিপিএল) আয়োজন করতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

করোনা ভাইরাসের কারণে গত বছর অনুষ্ঠিত হয়নি বিপিএল। তবে বিপিএল অনুষ্ঠিত না হলেও দুটি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট আয়োজন করে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। ঐ টুর্নামেন্ট দুটি সফল ভাবে শেষ হলেও করোনার কারণে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ২২তম আসর স্থগিত করতে বাধ্য হয় বিসিবি।

তবে জৈব সুরক্ষা বলয় নিশ্চিত করে দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কার সাথে সফল ভাবে সিরিজ আয়োজন করেছে বিসিবি। বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই এবার বিপিএল আয়োজন করতে চান তারা।

তিনি বলেন, ‘সামনে গুরুত্বপূর্ণ অনেক খেলা আছে। প্রথম শ্রেণির খেলা আছে। বিসিএল আছে। এখানে যদি ভালো ভাবে বায়ো বাবল করতে পারি তাহলে বিপিএল অবশ্যই হবে। এর আগে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ করেছি আমরা। আমাদের অভিজ্ঞতা তো কিছু আছেই। এর মধ্যে একটা দলও তৈরি হয়েছে তারা জানে এটা কী ভাবে করতে হয়।’

আগামী আগস্টে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আসবে অস্ট্রেলিয়া। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগ দিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসবে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। জালাল ইউনুস জানিয়েছেন এই সিরিজ গুলো ভালো ভাবে শেষ করতে পারলে বিপিএল আয়োজন করতে উৎসাহ পাবেন তারা।

জালাল ইউনুস বলেন, ‘অবশ্যই বড় সুযোগ। যদি এগুলো ভালো ভাবে আয়োজন করতে পারি, এই মহামারীর পরিস্থিতিতে এত বড় দলের বিরুদ্ধে সিরিজ আয়োজন করতে পারি অবশ্যই উৎসাহ পাবো। যদি জানুয়ারিতে বিপিএল করি।’

তবে সব কিছু নির্ভর করছে দেশের করোনা পরিস্থিতির উপর। দেশে বর্তমান করোনার যে পরিস্থিতি এটা এর থেকে না বাড়লে তবেই বিপিএল আয়োজন করবে বিসিবি। জালাল ইউনুস জানিয়েছেন করোনা আর না বাড়লে বিপিএল আয়োজন করতে সুবিধা হবে তাদের।

তিনি বলেন, ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টটা যেন না ছড়ায়। জুনের ১৫ তারিখ পর্যন্ত খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়। এর মধ্যে যদি কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি আর কোভিড বেশি না ছড়ায়, আমাদের জন্য সামনের খেলাগুলো আয়োজন করতে আরও সুবিধা হবে।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...