পাকিস্তান কি পারবে নিউজিল্যান্ডের বাঁধা টপকাতে? নাকি চিরচেনা শত্রুর কাছেই আরও একবার মুখ থুবড়ে পড়বে? কিউইরা জানে পাকিস্তান বধের সব রাস্তা, সব কৌশল। ইতিহাস সাক্ষী—পাকিস্তানকে দমিয়ে রাখার মন্ত্র নিউজিল্যান্ডের হাতে বরাবরই ছিল। ক’দিন আগেই পাকিস্তানের ঘরের মাঠে তাদের নাকানি-চুবানি খাইয়েছে দুবার। আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি? সেই মঞ্চে তো পাকিস্তানের জন্য নিউজিল্যান্ড এক দু:স্বপ্নের নাম—কখনও জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি তারা!
এই দুই দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মঞ্চে মুখোমুখি হয়েছে তিনবার। তিনটি ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছে ব্ল্যাকক্যাপসরা। বলা বাহুল্য প্রায় প্রতিটা ম্যাচেই দাপট দেখিয়েছে কিউইরা। ২০০০ সালে নাইরোবিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ ছিল নিউজিল্যান্ড।
সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২৫২ রান তুলতে সক্ষম হয় ২০১৭ আসরের চ্যাম্পিয়নরা। সাইদ আনোয়ারের সেঞ্চুরির কল্যাণে স্কোরবোর্ড হয়েছিল ভদ্রস্থ। শেইন ও’কনর তাণ্ডবে বাকি ব্যাটাররা বলার মত কিছুই করতে পারেননি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ব্ল্যাকক্যাপস ব্যাটাররা চার উইকেট ও এক ওভার বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল।
সেবার অবশ্য নিউজিল্যান্ডই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিল গগনপানে। এরপর কেটে যায় প্রায় ছয় বছর। মাঝে আরও দুইটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজিত হলেও এই দুই দলের মোলাকাত হয়নি। ২০০৬ সালে ভারতের মোহালিতে হয়েছিল পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ডের মাঠের লড়াই।
সেবার ২৭৫ রানের টার্গেট ছুড়ে দেয় ব্ল্যাকক্যাপসরা। মোহাম্মদ ইউসুফ ও শোয়েব মালিকের অর্ধশতকের পরও মাত্র ২২৩ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। উপমহাদেশের কন্ডিশনেও পাত্তা পায়নি পাকিস্তান। ৫১ রানে বিশাল পরাজয় হয়েছিল তাদের সঙ্গী।
এরপর জোহানেসবার্গের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল পাকিস্তান। নয় উইকেট খরচায় ২৩৩ রানে মামুলি সংগ্রহ গড়েছিল ইউনুস খানের পাকিস্তান। ৪৭.৫ ওভারের মধ্যেই ম্যাচটি জিতে নেয় নিউজিল্যান্ড। তাদের হাতে তখনও বাকি ছিল পাঁচটি উইকেট।
শুধু যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই বারবার পরাস্ত হয়েছে পাকিস্তান তা কিন্তু নয়। পাকিস্তানের ঘরের মাঠ করাচিতেও নিউজিল্যান্ডের পাল্লা ভারি। নয়টি ওয়ানডে ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। সেখানেই তো গড়াবে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচ।
সাম্প্রতিক সময়ে ত্রিদেশীয় সিরিজেও দুইবার পাকিস্তানকে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। অতীত পরিসংখ্যান পাকিস্তানের পক্ষে নেই। পাকিস্তান কি আদোতে পারবে পাশার দান উলটে দিতে? নাকি পরাজয়ের গোলকধাঁধায় আরও একবার আটকে যাবে তারা? সব প্রশ্নে উত্তর নিশ্চয়ই সময়ের হাতেই জমা আছে।