প্রথম জয়টা পাকিস্তানের ছিল এক তরফা, এবার জিতলেও লড়াইটা হল হাড্ডাহাড্ডি নিউজিল্যান্ডকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিলো পাকিস্তান। সেই সাথে সেমিফাইনালের পথে এক পা অগ্রসর হলো বাবর আজমের দল। অপরদিকে সেমির দৌড়ে পিছিয়ে গেলো ব্ল্যাকক্যাপরা।
১৩৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি বাবর আজম। শুরুতে তিনি আউট হলে চাপে পড়ে পাকিস্তান। ফখর জামান, মোহাম্মদ হাফিজরা ভালো সম্ভাবনা দেখালেও কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। একপ্রান্তে রিজওয়ায় থিতু হলেও খেলতে পারেননি স্বভাবসুলভ ইনিংস। ইশ সোদি, বোল্টদের দাপটে ৮৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তখন বিপাকে পাকিস্তান। শেষ ৫ ওভারে দরকার ছিলো ৪৭ রান!
অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক আর তরুন আসিফ আলীর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ঘুড়ে দাঁড়ায় পাকিস্তান। ম্যাচে ব্যাকফুটে থাকা পাকিস্তানকে খাদের কিনারা থেকে তুলে আনেন এই দুইজন। দু’জনের ব্যাটে চড়েই ৫ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান। আসিফ আলির ১২ বলে ২৭ রানের ক্যামিও ম্যাচের মোমেন্টাম পাকিস্তানের পক্ষে নিয়ে আসে!
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৩৬ রান করে দুই কিউই ওপেনার। এরপর হারিস রউফের বলে মার্টিন গাপটিল বোল্ড হয়ে ফিরলে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। দ্বিতীয় উইকেটে দলীয় ৫৪ রানে ব্যক্তিগত ২০ বলে ২৭ রানে আউট হন ড্যারেল মিশেল। শারজাহর স্লো উইকেট আর পাকিস্তানি বোলারদের দাপটে বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারছিলেন না নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা। মিচেলের পর দ্রুতই ফেরেন জিমি নিশামও!
৫৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে তখন কিউইরা। চতুর্থ উইকেটে ডেভন কনওয়ের সাথে ২৪ বলে ৩৪ রানের জুটির পথে ২৬ বলে ২৫ রানের ধীর গতির ইনিংসে রান আউটের শিকার হয়ে বিদায় নেন কেন উইলিয়ামসন! এরপর আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি বাকিরা।
একপ্রান্তে থিতু হয়ে কনওয়ে ২৭ রানের ইনিংস খেললেও বাকিরা ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। পাকিস্তানি বোলারদের দুর্দান্ত ফিনিশিং বিশেষভাবে হারিস রউফের দাপুটে বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৪ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড।
দলের পক্ষে ড্যারিল মিশেল ও ডেভন কনওয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রান করে করেন! পাকিস্তানের পক্ষে হারিস রউফ শিকার করেন ক্যারিয়ার সেরা ৪ উইকেট।
- সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড – ১৩৪/৮ (২০ ওভার); মিচেল ২৭(২০), কনওয়ে ২৭(২৪), উইলিয়ামসন ২৫(২৬); হারিস রউফ ৪-০-২২-৪, আফ্রিদি ৪-১-২১-১, ইমাদ ওয়াসিম ৪-০-২৪-১
পাকিস্তান – ১৩৫/৫ (১৮.৪ ওভার); রিজওয়ান ৩৩(৩৪), আসিফ আলি ২৭(১২), মালিক ২৬(২০); ট্রেন্ট বোল্ট ৪-০-২৮-২, সাউদি ৪-০-২৫-১।
ফলাফল: পাকিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: হারিস রউফ (পাকিস্তান)