চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে পাকিস্তানের

এশিয়া কাপ নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। এই টূর্নামেন্ট নিয়ে চলমান দ্বৈরথ জানা ক্রিকেট সমর্থকদের। এসবের মাঝেই আরও হতাশার খবর পাকিস্তানের জন্য।

২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্সট্রফি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে দেশটিতে। তবে শেষ পর্যন্ত সেখানে আয়োজন না হতে পারে টূর্নামেন্টটি।

আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা  ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান অবকাঠামো ব্যবস্থায় আত্মবিশ্বাস পাচ্ছে না কর্তারা। যুক্তরাষ্ট্র বাদ পড়লে একক আয়োজন সম্ভব নয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে। যার ফলে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে পারে আসরটি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এই দুই দেশে আয়োজন না হলেও ভিন্ন ব্যবস্থা রেখেছে আইসিসি। পরের বছর পাকিস্তানের বসতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন ট্রফি অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্র ও উইন্ডিজে। এমন পরিকল্পনায় রয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলে পাকিস্তান হারাতে পারে আয়োজন স্বত্ব। আয়োজন করতে না পারলেও, ক্ষতিপূরণ পাবে পিসিবি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন বড়। মানুষের আগ্রহ থাকে অনেক বেশি। অপরদিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন খুব একটা বড় নয়। এক বছর সময় পেলে দুই দেশ তাদের অবকাঠামো সুন্দর করতে সময় পাবে। আইসিসির এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কপাল পুড়বে পাকিস্তানের।

বর্তমান ক্রিকেটে দর্শকদের চাহিদাকে দেওয়া হয় মূল্য। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে নিশ্চয়ই ইংল্যান্ডে বাড়বে দর্শক। অবকাঠামো অনুযায়ী বাইরে থেকে খেলা দেখতে আসা মানুষের সংখ্যাও বাড়বে। এসব কিছুতেই মনোযোগ দিচ্ছে আইসিসি।

এশিয়া কাপ দ্বৈরথের মাঝে আইসিসির এমন সিদ্ধান্ত নিশ্চয়ই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে ক্রিকেট দুনিয়ায়। বিশেষ করে বিষয়টি যে সহজে মেনে নিবে না পিসিবি তা বলা যেতেই পারে। শুধু পিসিবি নয়, যে কোন দেশের ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষে এমন সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া কঠিন কাজ।

এশিয়া কাপ নিয়ে পাকিস্তানের ‘হাইব্রিড’ মডেল মানেনি ভারত। বাকি দেশগুলোও দেখায়নি আগ্রহ। ভারতের চাওয়া মেনে নিয়ে প্রায় কাজ করছে এসিসি। আইসিসি প্রধানও হস্তক্ষেপ করছে বিষয়টিতে। পাকিস্তান ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নিবে এমন আশ্বাসও চেয়েছেন তিনি।

পিসিবি শর্ত দিয়ে ভারতে খেলতে রাজি। যদিও সিদ্ধান্তের জন্য তাকিয়ে থাকতে হবে সরকারের দিকে। এই অবস্থায় যদি পাকিস্তান আয়োজন স্বত্ব হারায়, তবে পরিবেশ নিশ্চয়ই ঘোলাটে হবে।

পাকিস্তান নিজ দেশে ক্রিকেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে চেষ্টা করছে। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ডের মত দলগুলো সফর করছে। পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রশংসা করছে ক্রিকেটাররা। এমন অবস্থায় আইসিসির একটি আসর পিসিবি আয়োজন করতে পারলে লাভবান হবে দেশটির ক্রিকেট।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়েও দ্রুতই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আইসিসিকে। কেননা হাতে নেই খুব বেশি সময়। এখন দেখার অপেক্ষা বিষয়টিকে পিসিবি কতটা স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link