বুমরাহর জবাবে শাহীন

দিনক্ষণ এগিয়ে আসছে। মাসের ব্যবধান কমে অপেক্ষাটা এখন দিন দশেকের। এশিয়া কাপের আসর এখন দুয়ারে কড়া নাড়ছে। ক্রিকেটের একমাত্র মহাদেশীয় এ আসর নিয়ে ক্রিকেট অনুরাগীদের আগ্রহের কমতি পড়ে না কখনোই। 

চিরবৈরী ভারত-পাকিস্তান মহারণ, লঙ্কানদের সিংহরূপ, কিংবা বাংলাদেশের ব্যঘ্র গর্জন দেখতে মুখিয়ে থাকে সবাই। আফগানরাই বা পিছিয়ে কোথায়? ক্রিকেট মানচিত্রে তারা যে নব আধিপত্যের ছোঁয়া লাগানো চেষ্টায় সর্বদা মশগুল।

কোয়ালিফায়ার খেলে এশিয়া কাপে আসা নেপালদের জন্যও রয়েছে নেপালিদের অকুণ্ঠ সমর্থন। সব মিলিয়ে এশিয়া কাপ এশীয়দের জন্য এক দারুণ এক উপলক্ষ্যই বটে। এটা তো এক প্রকার স্বীকার্যই যে, ক্রিকেটের প্রাণ দর্শকদের ঢল পড়ে এই মহাদেশ থেকেই। 

যাহোক, এশিয়া কাপের দামামা বেজে উঠেছে এরই মধ্যে। সেই ধারাবাহিকতায় মাঠের লড়াইয়ের আগে যথারীতি শুরু হয়ে গিয়েছে বাকযুদ্ধও। আর মাঠের বাইরের সেই লড়াইয়ে অংশ নিলেন পাকিস্তানি ব্যাটার আব্দুল্লাহ শফিক। 

এশিয়া কাপ দিয়েই ফিরতে পারেন দীর্ঘদিন ধরে ইনজুরিতে থাকা জাসপ্রিত বুমরাহ। সাথে মোহাম্মদ শামি আর সিরাজকে নিয়ে তাই ভয়ঙ্কর এক পেস অ্যাটাকই পেতে যাচ্ছে ভারত। আব্দুল্লাহ শফিককে ঠিক এই ইস্যুতে প্রশ্ন করেছিলেন এক সাংবাদিক। বলেছিলেন, ‘এশিয়া কাপে তো বুমরাহ ফিরছে। সাথে শামি, সিরাজরা তো আছেই। এই তিন পেসারকে খেলা কতটা কঠিন হবে পাকিস্তানি ব্যাটারদের জন্য?’

এমন প্রশ্নে ঘাবড়ে যাবেন শফিক, এমনটায় ভেবেছিলেন সাংবাদিক। কিন্তু পাকিস্তানি এ ব্যাটার প্রত্যুত্তরে দিয়েছেন মোক্ষম এক জবাব। তিনি বলে ওঠেন, ‘আমরা নেট প্র্যাকটিসে শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফদের মতো পেসারদের বিপক্ষে খেলি৷ আমার তো মনে হয় না আমাদের সমস্যা হওয়ার কথা। প্রতিপক্ষের পেস আক্রমণ যতই শক্তিশালী হোক, আমরা তো সেরা পেসারদেরকেই নেটে খেলছি।’

এরপর আব্দুল্লাহ শফিক শাহিন, নাসিমদের প্রশংসা করে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের পেস বোলিং লাইন আপই বিশ্বের সেরা। আর ওদের নেটে খেলতে পারা মানে, যেকোনো পেসারের বিপক্ষে আত্মবিশ্বাসের সাথে খেলা। আমরা সেই আত্মবিশ্বাসী মনোভাবটাই মাঠে দেখাতে চাই।’

২০১৯ বিশ্বকাপের পর শেষ ৪ বছরে ভারত-পাকিস্তান একবারের জন্যও ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়নি। তবে এই এশিয়া কাপেই ২ বার মুখোমুখি হতে পারে দুটি দল। আগামী ২ সেপ্টেম্বর গ্রুপ এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। 

আর দুই দলই যদি নেপালকে হারাতে পারে তাহলে সুপার ফোরে আরো একটি ম্যাচে মাঠে নামবে দুটি দল। বলে রাখা ভাল, দুই দল ফাইনালে উঠলে, ২ সপ্তাহের ব্যবধানে ৩ বার ভারত-পাকিস্তান মহারণের স্বাক্ষী হবে পুরো বিশ্ব। যদিও এশিয়া কাপের ইতিহাস বলে, এখন পর্যন্ত একই সাথে এ দুটি দল কখনোই ফাইনালে মুখোমুখি হয়নি। 

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link