পাকিস্তান ক্রিকেট বেশ দু:সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটার মাইকেল ভন তাই তো মনে করেন ইংলিশ খেলোয়াড়দের পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলার চেয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলাই বেশি ভাল। বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার কামরান আকমলও ভনের সাথে একমত পোষণ করেন।
সম্প্রতি মাইকেল ভন পাকিস্তান আর ইংল্যান্ড সিরিজ নিয়ে মন্তব্য করে বলেন, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার চেয়ে ইংলিশ খেলোয়াড়দের আইপিএলে খেলা বেশি ভালো।’
চলমান পাকিস্তান -ইংল্যান্ডের মধ্যে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে ভন এই মন্তব্য করেন। তাঁর মতে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) উচিত ইংলিশ খেলোয়াড়দেরকে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলানোর চেয়ে আইপিএলে খেলতে দেয়া উচিত। এতে করে তাঁর আআরো ভালোভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে পারতো।
কামরান আকমলের তাঁর ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে জানান তিনিও ভনের সাথে সহমত পোষণ করছেন। পাকিস্তানের সাম্প্রতিক পারফর্ম্যান্স সত্যিই অসন্তোষজনক। তাছাড়া আইপিএলে এখন উন্নত মানের ক্রিকেট খেলা হয়।
তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়কের করা মন্তব্যে আমি সত্যিই অবাক হয়েছি। যদিও মেনে নেয়া কষ্টকর, তবে তিনি পাকিস্তানের বর্তমান অবস্থার কথা ভেবেই মন্তব্যটি করেছেন।।’
পাকিস্তানের সাবেক এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার আরো বলেন, ‘পাকিস্তানের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে সবাই জানেন। আমরা আয়ারল্যান্ডের মত দলের সাথেও ম্যাচ হেরেছি। ভনের মতে এটা তেমন কঠিন কোনো ম্যাচ ছিল না পাকিস্তানের জন্য। নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবা ভারতের বিপক্ষে হারলে হয়তো এমন কথা বলতেন না তিনি। আইপিএলে ৪০ থেকে ৫০ হাজার দর্শকদের সাম্নে আপনাকে পারফর্ম করতে হয় । সেখানে বেশ কঠিন, সেই সাথে উন্নত মানের ক্রিকেট খেলা হয়।’
তবে মাইকেল ভনের এই মন্তব্যকে তিনি আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য উৎসাহমূলক বাণী হিসেবেই মনে করছেন। আকমলের মতে, ‘পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যানই এমন অবস্থার জন্য দায়ী। কেননা তিনিই সবকিছু এলোমেলো করে দিয়েছেন। এখন দেখার বিষয় পাকিস্তান কি এমন ধারাতেই ক্রিকেট খেলতে থাকে নাকি এই অবস্থা থেকে উত্তরণের চেষ্টা করে।’
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এই মেগা ইভেন্টের ক্রান্তি লগ্নে এসে পাকিস্তানের এই দুরবস্থা সত্যিই হতাশাজনক। পাকিস্তানের ক্রিকেট সমর্থকরা তবু আশায় বেঁধেছে বুক। তাঁদের বিশ্বাস এবারের বিশ্বকাপে আবারো দুরন্ত ফর্মে ফিরে আসবে পাকিস্তান।