ব্যাটিংয়ে নড়বড়ে হলেও, বোলিংয়ে শক্তিশালী পাকিস্তান। তাতেই যত বিপত্তি ভারত শিবিরে। পাকিস্তানকে হেয় করে না দেখার আহ্বান জানালেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ কাইফ। তাঁর মতে, পাকিস্তানের ব্যাটিং নিয়ে না ভাবলেও, তাঁদের বোলিং নিয়ে সতর্ক থাকা উচিত রোহিত শর্মাদের।
বহুল প্রতীক্ষিত ভারত-পাকিস্তানের এই ম্যাচ আগামী ৯ জুন নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত হবে। কাইফ পাকিস্তানের আক্রমণাত্মক ব্যাটারদের তালিকায় শুধু ফখর জামানই রয়েছেন। তিনি ম্যাচে আগ্রাসী-ভাবে খেলার সামর্থ্য রাখেন। আবার মিডল অর্ডারের ইফতেখার আহমেদও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন। আর এই দুজন ছাড়া তেমন কাউকে বিপদজ্জনক মনে করছেন না কাইফ।
পাকিস্তানের ব্যাটিং নিয়ে কাইফ বলেন, ‘সবাই জানে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন আপ দুর্বল। ফখর জামান একটু আগ্রাসী-ভাবে খেলে থাকেন। সে একাই ম্যাচ জেতাতে পারে। একইভাবে খেলন ইফতেখার আহমেদ। বাকিরা ১২০ থেকে ১২৫ স্ট্রাইক রেটেই ব্যাটিং করে থাকে। তাই তাঁদের ব্যাটিং নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই, তবে পাকিস্তানের বোলিং নিয়ে ভাবতে হবে ভারতকে।’
আবার পাকিস্তানের বোলিংয়ে শাহীন শাহ আফ্রিদি এবং নাসিম শাহকেই প্রধান বাঁধা মনে করছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের বোলিংয়ে শাহীন শাহ আফ্রিদি এবং নাসিম শাহ থাকবে। নাসিম বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে আসেনি তাঁর ইনজুরির জন্য। তবে এখন সে সুস্থ। সে একজন দারুণ বোলার। মেলবোর্নে সে দুর্দান্ত খেলেছিল।’
তবে তাঁর মতে, কোনোভাবেই পাকিস্তানকে ছোট করে দেখা যাবে না। টানা হারের পরেও তাঁদেরকে হালকা করে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাঁরা যেকোন সময় ম্যাচের পরিস্থিতি ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম। তাঁরা গতবার ফাইনাল খেলেছে।
নিউ ইয়র্কে স্টেডিয়াম খোলা হওয়াতে বোলাররা সুইংয়ের সুবিধা পাবেন বলে মনে করেন কাইফ। তিনি বলেন, ‘নিউ ইয়র্কের মাঠ খোলা। তাই বোলাররা সুবিধা পাবে সুইংয়ের। তাছাড়া ভারতের একটি ভারসাম্যপূর্ণ দল রয়েছে। বুমরাহ (জাস্প্রিত বুমরাহ) এবং কুলদীপের (কুলদীপ যাদব) মত বোলার রয়েছে। বিরাট কোহলিও ফর্মে আছে। আমি মনে করি, একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে হতে চলেছে।’
বিশ্ব ক্রিকেটের চোখ এখন ভার পাকিস্তানের ম্যাচের দিকে। কে জিতবে সেই সম্মানের লড়াই? পাকিস্তানের দুর্বল ব্যাটিংয়ের ফায়দা কি কাজে লাগাতে পারবে বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মারা ?