সীমিত ওভারের খেলায় রানের চাকা সব সময়ই সচল রাখতে হয় ব্যাটারদেরকে। রান না আসলেই প্রতিপক্ষের আক্রমণ হয় আরো শক্তশালী। ফলে ম্যাচ হয়ে যায় হাত ছাড়া। ঠিক এমনভাবেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ হাতছাড়া হয়েছে পাকিস্তানের। চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ৪ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নিউজিল্যান্ড। তীরে এসে তরী ডুবে যায় পাকিস্তানের।
পাকিস্তান- নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে আছে নিউজিল্যান্ড। ১৭৯ রান তাড়া করতে নেমে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। ৭ থেকে ১৫ ওভারের মাঝে মাত্র ৭৪ রান নিতে সক্ষম হয় বাবর আজমের দল। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানে যেয়ে ঠেকে পাকিস্তানের ইনিংস।
মাঝের ওভারে ধীর গতির এই ইনিংসই এখন পাকিস্তানের মাথা ব্যথার কারণ। আর তাই জটিল পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে পারে পাকিস্তানের মিডল অর্ডার ব্যাটিং লাইন আপ। মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা যে কতটা পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাঁর স্কোরিং রেট দেখলেই বোঝা যায়। কেননা মাঝের ওভারগুলোতে তাঁদের স্কোরিং রেট মাত্র ৭.৩০।
৭ থেকে ১৫ এই ওভারগুলোতে গড় রানের তালিকায় একেবারে তলানিতে অবস্থান পাকিস্তানের। তাঁরা একমাত্র আফগানিস্তানের উপরে অবস্থান করছে। ৯.৭৫, ৯.৩৫, ৮.৯৭ গড় রান নিয়ে তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষণ আফ্রিকা এবং ভারত।
বিশ্বকাপ যতই আগাচ্ছে প্রতিটি দল তাঁদের দুর্বল দিকগুলো নিয়ে কাজ করছে। তাছাড়া অন্যদলের দুর্বলতা নিয়েও চলছে বিশ্লেষণ। পাকিস্তানেরও উচিত তাঁদের দুর্বল দিকগুলোতে মনযোগ দেয়া। নয়তো এই ম্যাচের মত বিশ্বকাপটাও হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে পাকিস্তানের।