অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান— দুই শক্তিশালী দলের সাথে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সিরিজ নিয়ে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা চালাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)! নিশ্চয়তা এখনও পুরোপুরি আসেনি, তবে আভাসটা যে রোমাঞ্চকর—তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আসছে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এই সিরিজ মাঠে গড়াতে পারে। প্রাথমিক ভাবে অস্ট্রেলিয়ার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পাকিস্তান যাওয়ার কথা। কিন্তু, বিশ্বকাপকে সামনে রেখে পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক নয়, ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে চায়। আর তৃতীয় দল হিসেবে তাঁদের পছন্দ বাংলাদেশ।
বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, এই সিরিজ নিয়ে চলছে গভীর আলোচনা, আর এই আলোচনার মাঝেই ঢাকায় এসেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বার্ষিক সভার ফাঁকেই বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সঙ্গে হয়েছে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) বরাবরই উপমহাদেশীয় কন্ডিশনে খেলার আগে প্রস্তুতিতে বাড়তি মনোযোগ দেয়। ২০২১ বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের সঙ্গে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ হোক, কিংবা চলতি বছর শ্রীলঙ্কায় গিয়ে টেস্ট-ওয়ানডে মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি—সবই ছিল নিখুঁত পরিকল্পনার অংশ। তাই ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেও তারা প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি রাখতে চায় না।
পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া দ্বিপাক্ষিক সিরিজটি এখন তাই হয়ে যেতে পারে ত্রিদেশীয় সিরিজে। অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের আগ্রহের কেন্দ্রে এখন বাংলাদেশ, যাদের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে সম্পর্ক বেশ হৃদ্যতাপূর্ণ। সিরিজটি হলে প্রতিটি দল দুটি করে ম্যাচ খেলবে, আর পয়েন্ট টেবিলের সেরা দুই দল উঠবে ফাইনালে।
তবে এখানেই শেষ নয়—ভারতের আসন্ন সফর পিছিয়ে যাওয়ায় আগস্টে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ নেই। ফলে ক্রিকেটারদের প্রস্তুতির ঘাটতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে যদি ত্রিদেশীয় সিরিজটি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে বিশ্বকাপের আগে সেটিই হতে পারে আদর্শ প্রস্তুতি। বুলবুলও তাই তড়িঘড়ি আলোচনা করতে চান নাকভির সঙ্গে।
ত্রিমুখী লড়াই, উপমহাদেশের কন্ডিশনে কৌশলের পরীক্ষা, বিশ্বমঞ্চের আগে সাহস বাড়ানো — সব মিলিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজটি হতে পারে ২০২৬ বিশ্বকাপ অভিযানের এক অমূল্য প্রস্তুতিপর্ব।