অস্ট্রেলিয়ার নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে প্যাট কামিন্সের নাম ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। এর মধ্য দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসের ২৭ তম অধিনায়ক হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলকে নেতৃত্ব দেবেন কামিন্স। সামনে নভেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ দিয়ে দায়িত্ব নেবেন তিনি।
নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর কামিন্স বলেন, ‘ফিঞ্চের অধীনে এতদিন খেলাটা আমি উপভোগ করেছি। কিভাবে নেতৃত্ব দিতে হয় সেটাও তার কাছ থেকেই শেখা। আমাদের দলে অনেক ভাল ভাল খেলোয়াড় আছে। এই দলের দায়িত্ব পেয়ে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।’
গত বছর অ্যাশেজের আগে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন প্যাট কামিন্স। অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে তিনিই প্রথম ফাস্ট বোলার যিনি অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের অধিনায়ক হয়েছিলেন। টেস্টের মতোই ওয়ানডে ক্রিকেটেও তিনি অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ফাস্ট বোলার যিনি ওয়ানডের অধিনায়কত্ব পেলেন।
নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবের প্যাট কামিন্সের নাম ঘোষণার পর অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক কমিটির প্রধান জর্জ বেইলি বলেছেন, ‘টেস্ট অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর থেকেই কামিন্স দারুণ কাজ করছে। আশা করছি, ওর ক্যাপ্টেন্সিতে ২০২৩ বিশ্বকাপে ভালই করবে অস্ট্রেলিয়া।’
যদিও এর আগে একটি গুঞ্জন উঠেছিল, ডেভিড ওয়ার্নারই হতে পারেন পরবর্তী ওয়ানডে অধিনায়ক। তবে তার অধিনায়ক হওয়ার পথে বাঁধা ছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার আচরণবিধি। ২০১৮ সাল কেপটাউন টেস্টে ওয়ার্নার বল টেম্পারিং করার কারণে নিষিদ্ধ হন।
একই সাথে তাঁকে আজীবনের জন্য অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া সেই আচরণবিধির নীতিমালা সংশোধন করতে চেয়েছিল শুধু ওয়ার্নারকে অধিনায়ক করার জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি।
এছাড়া এর আগে শোনা গিয়েছিল, টেস্ট অধিনায়কত্বের কারণে আলাদা বাড়তি চাপ নিতে চান না প্যাট কামিন্স। তবে অস্ট্রেলিয়া তিন ফরম্যাটের তিন অধিনায়কের পথে হাঁটেনি। অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্বটা কামিন্সের কাঁধেই তুলে দিয়েছে তারা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ১৭ নভেম্বর থেকে নিজেদের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। সেই সিরিজ দিয়েই ওয়ানডে অধিনায়কত্বের অভিষেক ঘটবে প্যাট কামিন্সের।