গত আসরটাও পাঞ্জাব কিংসের কেটেছে বেজায় বাজে। টেবিলের তলানিতে থেকে শেষ হয়েছিল তাদের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের যাত্রা। ঠিক এক মৌসুম বাদে প্রায় ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গেছে ভাগ্য। প্লে-অফ নিশ্চিত করে ফেলেছে দলটি। যদিও এখনও আনুষ্ঠানিকতা বাকি। তবে রাজস্থান রয়্যালসকে ১০ রানে হারিয়ে প্লে-অফের আশাকে আরও খানিকটা বাস্তবসম্মত করেছে শ্রেয়াস আইয়ারের দল।
১৭ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে টেবিলের দুই নম্বর স্থানে রয়েছে দলটি। বাকি থাকা দু’টো ম্যাচে পরাজয়ের সাক্ষী হলেও শীর্ষ চার থেকে ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনা একেবারে নেই বললেই চলে। আর দলটির এমন সাফল্যের অন্যতম কাণ্ডারি শ্রেয়াস আইয়ার।
গেল আসরের চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক। বিপুল অর্থ খরচের পর তাকে দলে ভিড়িয়েছে পাঞ্জাব কিংস। আর একজন চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক দলের মধ্যকার মনোভাবে কতটুকু প্রভাব ফেলে- সে উদাহরণই হয়ে রইল এবারের পাঞ্জাব কিংস। যদিও এই সাফল্যের প্রায় সিংহভাগ কৃতীত্ব প্রাপ্য দুই ওপেনিং ব্যাটারের।
ভারতীয় ব্যাটারদের নিয়ে গড়া টপ অর্ডার প্রায় প্রতিটা ম্যাচেই পারফরম করেছে। প্রভসিমরান সিংয়ের সাথে প্রিয়ানশ আরিয়ার যুগলবন্দী পাঞ্জাবের অধিকাংশ ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে। তাছাড়া শ্রেয়াস আইয়ার ব্যাট হাতেও ছিলেন সমান উজ্জ্বল।
অন্যদিকে মিডল অর্ডারে ধারাবাহিকতার এক অনন্য চরিত্র বনে গেছেন শশাঙ্ক সিং। ভুল করে তাকে দলে নিয়েছিল ফ্রাঞ্চাইজিটি। কিন্তু সেই ভুলকে সবচেয়ে সঠিক সিদ্ধান্তে পরিণত করেছেন এই ব্যাটার। তার সাথে তাল মিলিয়ে প্রয়োজনের মুহূর্তে জ্বলে উঠেছেন নেহাল ওয়াধিরাও।
অন্যদিকে বোলিং আক্রমণের হাল শক্ত করেই ধরে আছেন আর্শদ্বীপ সিং, যুজবেন্দ্র চাহালরা। এই দুই স্বদেশীর পকেটে রয়েছে ৩০ খানা উইকেট। এছাড়া ভিনদেশি মার্কো ইয়ানসেনও তাল মিলিয়ে উইকেট শিকারের মিশনে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।
তার ঝুলিতে আছে ১৩টি উইকেট। এছাড়া হারমানপ্রীত ব্রার, আজমতউল্লাহ ওমরজাইরাও সময় সুযোগ পেলেই প্রতিপক্ষের ব্যাটিং দূর্গে আঘাত হেনেছেন। মোদ্দা কথা একটা ইউনিট হিসেবে খেলেছে গোটা পাঞ্জাব কিংস। এদফা অধরা শিরোপা জয়ের স্বপ্নে বুদ। শ্রেয়াসের জানা আছে রাস্তা, বাকিদের আছে তীব্র প্রচেষ্টা। হবে কি এবার পাঞ্জাবের শিরোপা?