নতুন এক চ্যালেঞ্জের মুখে নিজেদের ছুঁড়ে দিয়েছে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের নির্ধারিত উইন্ডোতে আয়োজন করতে চলেছে পিএসএল। ইতোমধ্যেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড থেকে পিএসএলের দশম আসরের জন্য প্রস্তাবিত সময়সূচি পাঠনো হয়েছে টুর্নামেন্টের অংশগ্রহণকারী সকল ফ্রাইঞ্চাইজির কাছে।
সময়সূচি অনুযায়ী, সর্বোচ্চ দশটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এবং আটটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। করাচি ন্যাশনাল স্টেডিয়াম ও মুলতান স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ করে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া নিরপেক্ষ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে চারটি ম্যাচ।
গত মৌসুমে ভিড়ের কারণে এবার করাচিতে ম্যাচ সীমিত রাখা হয়েছে। ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ও লাহোর কালান্দার্সের ১০ টি ম্যাচই হবে ডে-নাইট। করাচি কিংস ও পেশোয়ার জালমি উভয়ই ৯ টি ম্যাচ, এবং কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স ও মুলতান সুলতান ৮ টি করে ম্যাচ রাতে ফ্লাড লাইটের আলোয় খেলবে।
কিংস তাদের ৫টি ম্যাচ করাচিতে আয়োজন করবে। কালান্দার্সও তাঁদের অর্ধেক ম্যাচ হোম গ্রাউন্ডে খেলবে। গ্ল্যাডিয়েটর্স তাদের ৫টি ম্যাচ লাহোরে খেলবে। সুলতান এবং ইউনাইটেডও তাদের ৫ টি করে ম্যাচ নিজ নিজ হোম গ্রাউন্ড মুলতান এবং রাওয়ালপিন্ডিতে খেলেবে। জালমির ৫টি ম্যাচও রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত হবে।
সকল দল ৭ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে রিপোর্ট করবে এবং ১১ এপ্রিল পর্যন্ত অনুশীলন চলবে। ১২ এপ্রিল শনিবার ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ও লাহোর কালান্দার্স ম্যাচের মাধ্যমে পিএসএল ২০২৫ এর যাত্রা শুরু হবে। পরের দিন ২টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে, পেশওয়ার জালমি ও কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স রাওয়ালপিন্ডিতে এবং কিংস ও মুলতান সুলতান করাচিতে একে অপরের মুখোমুখি হবে।
রাওয়ালপিন্ডির প্রাথমিক ম্যাচগুলি ১৯ এপ্রিল শেষ হবে, যেখানে ন্যাশনাল স্টেডিয়াম করাচির ম্যাচগুলো ২১ তারিখ সম্পূর্ণ হবে। মুলতানের ম্যাচগুলো ২২ এপ্রিল এবং লাহোরের ম্যাচগুলো এপ্রিলের ২৪ তারিখ থেকে শুরু হবে। ৪ই মে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে শেষ ম্যাচ খেলার পর রাওয়ালপিন্ডিতে ৪ ম্যাচ এবং মুলতানে ২ ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে।
১১ই থেকে ১৪ই মে পর্যন্ত কোনো ম্যাচ থাকবে না, তারপর ১৫ মে নিউট্রাল ভেন্যুতে প্রথম কোয়ালিফায়ার, ১৬ তারিখে এলিমিনেটর, ১৮ তারিখে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার এবং ২০ই মে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।
প্রস্তাবিত সময়সূচিতে নিউট্রাল ভেন্যু কোনটি থাকবে তা উল্লেখ করেনি পিসিবি। তবে ধারাণা করা হচ্ছে ইংল্যান্ডেই পিএসএলের কোয়ালিফায়ার, এলিমিনেটর ও ফাইনাল খেলা হবে। তবে উল্লেখ্য যে এটি ম্যাচের প্রাথমিক সময়সূচি, যা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো পর্যালোচনা করে পিসিবির সাথে যোগাযোগ করবে, যেখানে সময়সূচি পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে মূল সমস্যা হচ্ছে আইপিএলের মৌসুমে বিদেশি খেলোয়াড় প্রাপ্তিতে। বিশ্বের প্রায় প্রতিটা খেলোয়াড় আইপিএল খেলতে মুখিয়ে থাকেন। তাইতো আইপিএলের সময়ে পিএসএল আয়োজিত হলে বিপাকে পড়তে পারে পিএসএল ফ্রাঞ্চাইজিগুলো। তাতে করে হুমকির মুখে পড়ে যাবে পিএসএল। এমন ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত শেষ অবধি বাস্তবায়িত হয় কি-না সেটা এখন দেখবার বিষয়।