ইডেনে মার্শ-পুরান তাণ্ডব

সিটি অব জয়-তে দুই ভিনদেশীর রুদ্রমূর্তি বরং আনন্দই ছড়িয়েছে। মিচেল মার্শের পর নিকোলাস পুরানের রুদ্রতাপে ভষ্ম হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।

সিটি অব জয়-তে দুই ভিনদেশীর রুদ্রমূর্তি বরং আনন্দই ছড়িয়েছে। মিচেল মার্শের পর নিকোলাস পুরানের রুদ্রতাপে ভষ্ম হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ইডেন গার্ডেন্সকে বিনোদনের মঞ্চ বানিয়ে তারা মেতে উঠেছিলেন বাউন্ডারির উৎসবে। মার্শ হাঁকিয়েছেন ১১ খানা বাউন্ডারি, পুরানের ব্যাট থেকে ছক্কাই এসেছে আটটি।

টসে জিতে কলকাতার বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত। আজিঙ্কা রাহানের সেই সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করেছেন মার্শ ও পুরান। বিধ্বংসী ব্যাটিং বললেও হয়ত কোন কোন ক্ষেত্রে তাদের আগ্রাসনকে খর্ব করা হয়। তবে ধ্বংসলীলা দেখার পরও লখনৌ সুপার জায়ান্টস দর্শকদের আক্ষেপ রয়ে গেছে নিশ্চয়ই। কেননা শতকের কাছাকাছি গিয়েও দু’জনের কেউই করতে সেঞ্চুরির দেখা শেষ অবধি পাননি।

মার্শ আউট হয়েছেন ৮১ রানে। পুরান অবশ্য অপরাজিতই থেকেছেন শেষ অবধি। ৮৭ রান নিয়েই ফিরেছেন সাজঘরে। তাদের অনবদ্য ব্যাটিংয়ের সুবাদে লখনৌয়ের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ২৩৮ রান। এর আগে অবশ্য এইডেন মার্করামও মারকুটে ব্যাটিংয়ের বীজ বপণ করে দিয়েছিলেন।

সেই বীজ থেকেই সৃষ্টি হয়েছে বিশাল বৃক্ষ। আর বাউন্ডারি দিয়ে সেই বৃক্ষের সৌন্দর্যবর্ধণের কাজটাই করেছেন এক অজি ও আরেক ক্যারিবিয়ান। এই দুইজনে গড়েছিলেন ৩০ বলে ৭১ রানের জুটির। তার আগে ওপেনিং জুটি থেকে এসেছিল আরও ৯৯টি রান।

এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে সেই অর্থে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটের দেখা মিলছে না। চার-ছক্কার বৃষ্টি হচ্ছে না প্রতি ম্যাচেই। তবুও বিনোদনের খোরাক মেটানোর আপ্রাণ চেষ্টাই করে যাচ্ছেন প্রতিটা ব্যাটার। সেই ধারাতেই কলকাতার বোলারদের উপর পুরান আর মার্শ চালিয়েছেন স্টিমরোলার। তবে ক্ষ্যাপাটে ব্যাটিংয়ের দিক থেকে মার্শকেও ছাপিয়ে গেছেন পুরান।

সবমিলিয়ে ১৫টি বাউন্ডারি মেরেছেন তিনি। মার্শের চাইতে চারটি বেশি। আবার পুরান বলও মার্শের তুলনায় খেলেছেন কম। মার্শের স্ট্রাইকরেট যেখানে ছিল প্রায় ১৬৯, সেখানে পুরানের ব্যাট চলেছে ২৪১ এর বেশি স্ট্রাইকরেটে। ঠিক এ কারণেই হয়ত আইপিএলে ভিনদেশী মারকুটে ব্যাটারদের ঠিক এতটা কদর। পুরান ও মার্শ নিজেদের ভ্যালু যেন আরও খানিকটা বাড়িয়ে নিলেন এদফা।

Share via
Copy link