এশিয়া কাপের শুরুটা ভাল হলেও শেষপর্যন্ত হতাশাজনক ফলাফল নিয়েই ফিরতে হয়েছে পাকিস্তানকে। সুপার ফোরে চার দলের মাঝে চতুর্থ হয়ে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের মিশন শেষ করেছে তাঁরা। তাই তো বিশ্বকাপের আগে দলকে পুনরায় গুছিয়ে নিতে টিম ম্যানেজম্যান্টের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
সেই আলোচনায় টিম পারফরম্যান্স, খেলোয়াড়দের ফর্ম, ফিটনেস সবকিছু নিয়েই কথা হয়েছে। এছাড়া পরিকল্পনা করা হয়েছে ভবিষ্যৎ নিয়ে। বিশেষ করে ক্রিকেটারদের ওয়ার্কলোড ম্যানেজম্যান্ট এবারের আলোচনায় বেশ গুরুত্ব পেয়েছে।
এসব নিয়ে পিসিবি চেয়ারম্যান জাকা আশরাফ বলেন, ‘এই সভার কারণ ছিল সবাইকে নিয়ে আলোচনার পরিবেশ তৈরি করা এবং ঐকমত্য গড়ে তোলা। প্রত্যেকে দলের সমস্যা এবং সমাধানগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছে। আমাদের শক্তি এবং দুর্বলতা নিয়ে নিয়মিত কথা বলতে হবে যাতে দলের উন্নতির জন্য কী এবং কিভাবে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি সে সম্পর্কে আমরা জানতে পারি।’
হারিস রউফ, নাসিম শাহদের ইনজুরি ইস্যুতে সাবেক পিসিবি কর্তাদের এক হাত নিয়েছেন জাকা আশরাফ। তিনি বলেন, ‘আলোচনা থেকে জেনেছি, পূর্ববর্তী ম্যানেজম্যান্ট অনেক খেলোয়াড়কে বিভিন্ন লিগ ক্রিকেট খেলার অনুমতি দিয়েছিল যার ফলে তাঁদের ওয়ার্কলোড বেড়েছিল, এবং ইনজুরিতে পড়েছে। তবে এখন আমরা ক্রিকেটারদের চাপ সামলাতে এবং জাতীয় দায়িত্বকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য একটি সক্রিয় পদ্ধতি তৈরি করব।’
বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে নিয়ে আশাবাদী পিসিবি চেয়ারম্যান। অতীত ব্যর্থতাকে পিছনে ফেলে দারুণ কিছু করবেন বাবর আজমেরা, এমনটাই প্রত্যাশা তাঁর। পিসিবি কর্তা মনে করেন, ‘আমি নিশ্চিত যে এশিয়া কাপে অর্জিত অভিজ্ঞতা বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে সাহায্য করবে। আমাদের দল প্রতিভায় পরিপূর্ণ, এবং তাদের সর্বোচ্চ স্তরে জেতার ক্ষমতা রয়েছে। বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান এবং বোলার রয়েছে এবং মেগা ইভেন্টের আগে তাঁদের সঠিক প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে পিসিবি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
জাকা আশরাফ ছাড়ও এই মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান দলের অধিনায়ক বাবর আজম, সহ-অধিনায়ক শাদাব খান, কোচ মিকি আর্থার। এছাড়া প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মাঝে ছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ, মিসবাহ উল হক। এরা সবাই মিলিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেটের সাম্প্রতিক অবস্থানকে কাঁটাছেড়া করেছেন।
প্রধান নির্বাচক ইনজামাম উল হক শারিরীক অসুস্থতার কারণে না থাকতে পারলেও পরবর্তীতে জাকা আশরাফের সঙ্গে দেখা করে নিজের মতামত জানান। এরপরই বিশ্বকাপ স্কোয়াড চূড়ান্ত করে পাকিস্তান, শুক্রবার সকালে সেটা ঘোষণা করা হয়।