প্রভসিমরান শুনিয়েছেন প্রতাপের গান

ক্রিকেটের আধুনিক যুগে এসে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) কেবল একটা টুর্নামেন্ট নয়, বরং প্রতিভাবানদের লাইম লাইটে আসার মঞ্চও বটে। প্রতি বছরই একাধিক তরুণ প্রতিভার সাক্ষ্য রাখেন, প্রমাণ করেন নিজেকে।

এই যেমন পাঞ্জাব কিংসের প্রভসিমরান সিং, গত আসরেই ধারাবাহিক পারফর্ম করে শিরোনাম হয়েছিলেন তিনি। এবারও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন, যার সবশেষ উদাহরণ সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে অনবদ্য এক ইনিংস।

২০২৩ আইপিএলে এক সেঞ্চুরি ও এক হাফসেঞ্চুরির সাহায্যে ৩৫৮ রান করেছিলেন এই ব্যাটার। তবে তাঁর আগ্রাসী ব্যাটিং-ই সবচেয়ে বেশি প্রশংসা কুড়িয়েছিল, ১৫০ এর বেশি স্ট্রাইক রেটে রান করেছিলেন তিনি। তাই তো চলতি আইপিএলে নিজের খেলার ধরন বদলাননি, হায়দ্রাবাদ ম্যাচেও তাঁকে চিরচেনা আগ্রাসী মেজাজেই দেখা গিয়েছে।

এদিন ৪৫ বল খেলে ৭১ রান করেছেন এই তরুণ, সাত চারের পাশাপাশি চার ছয়ে সাজানো ইনিংসটিতে ছিল অসাধারণ সব শটের প্রদর্শনী। আথারাভা তাইদের সঙ্গে তাঁর ৯৭ রানের দুর্দান্ত জুটির কল্যাণেই মূলত বড় সংগ্রহের ভিত পেয়েছিল পাঞ্জাব।

প্রথম ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের খাতা খুলেছিলেন প্রভসিমরান। সেই আত্মবিশ্বাসে ভর করে এরপর একের পর এক বল মাঠের বাইরে পাঠিয়েছিলেন তিনি; এমনকি ইনফর্ম প্যাট কামিন্সকেও পর পর দুই বলে এক ছয় ও এক চার মেরেছিলেন। পাওয়ার প্লে শেষে তাঁর নামের পাশে জমা হয়েছিল ১৯ বলে ৩৩ রান – অর্থাৎ ফিল্ড রেস্ট্রিকশনের সর্বোচ্চ ফায়দা তুলেছেন।

অবশ্য সীমনা দড়িতে ফিল্ডারের সংখ্যা বাড়লে এই ডানহাতির রান তোলার গতি কমে আসে খানিকটা, তাই তো হাফ-সেঞ্চুরির জন্য খরচ করতে হয় ৩৩ বল। যদিও সেটি আবার পুষিয়ে দিয়েছেন তিনি, ব্যক্তিগত মাইলফলক পেরুনোর পর ঝড় তুলেছিলেন বাইশ গজে। তবে ভাগ্য সহায় হয়নি তাঁর, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আউট হতে হয়েছিল তাঁকে।

পাঞ্জাবের জার্সিতে সুযোগ পেয়ে নিজেকে মেলে ধরতে পেরেছেন এই উদীয়মান তারকা। ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করেছেন, তাঁর সবচেয়ে বড় গুণ সম্ভবত ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ের মানসিকতা – আধুনিক টি-টোয়েন্টিতে এটিই বেশি প্রয়োজন। 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link