হংকংয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য শুরুর একাদশ

যার শুরুটা করতে হবে হংকং, চায়নার বিপক্ষের ম্যাচটি দিয়েই। সেই ম্যাচে আক্রমণাত্মক খেলা ছাড়া তাই দ্বিতীয় কোন উপায় নেই বাংলাদেশ দলের সামনে। অতএব কেমন একাদশ হবে সে ম্যাচে?

বাংলাদেশের সম্ভাবনা কি একেবারেই শেষ? না, এএফসি এশিয়ান কাপে খেলার সুযোগ বাংলাদেশের সামনে এখনও আছে, অন্তত কাগজে কলমে। সেজন্য অবশ্য হাতে থাকা তিন ম্যাচের তিনটিই জিততে হবে। যার শুরুটা করতে হবে হংকং, চায়নার বিপক্ষের ম্যাচটি দিয়েই। সেই ম্যাচে আক্রমণাত্মক খেলা ছাড়া তাই দ্বিতীয় কোন উপায় নেই বাংলাদেশ দলের সামনে। অতএব কেমন একাদশ হবে সে ম্যাচে?- এমন প্রশ্ন জাগতেই পারে।

বাংলাদেশ দলের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা, ফরমেশনে বদল আনবেন না, সেটা নিশ্চিত। ৪-৪-২ ফরমেশনেই তিনি খেলতে নামাবেন হামজা চৌধুরিদের। অ্যাটাকিংয়ে রাকিব হোসেন ধ্রুব চরিত্র। তার সাথে বা দিকটায় থাকবেন ফাহমিদুল ইসলাম। পুরো নব্বই মিনিট হয়ত ফাহমিদুলের সার্ভিস পাওয়া যাবে না- তবে শুরুতেই বাংলাদেশ ম্যাচের লাগাম নিজেদের পক্ষে নিতে চাইবে। সে ভাবনা থেকেই ফাহমিদুলের শুরুর একাদশে থাকার সম্ভাবনা বেশি।

তাদের ঠিক পেছনে মাঝবরাবর, শেখ মোরসালিনের থাকাও প্রায় নিশ্চিত বলা যায়। তিনি থাকবেন মূলত ডায়মন্ড শেপের সেই মিডফিল্ডের উপরে। তার ঠিক বরারবর নিচেই থাকবেন হামজা চৌধুরি। বাংলাদেশের রক্ষণ দূর্গের এক্সট্রা লেয়ার অব শিল্ড হিসেবে। এখন প্রশ্ন আসতেই পারে, সামিত সোম শুরুর একাদশে থাকবেন কি-না।

এই প্রশ্নের সোজাসাপ্টা উত্তর হচ্ছে, নতুন করে কোন ইনজুরির শঙ্কা না জাগলে, সামিতকে নিয়েই মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। আরেকজন মিডফিল্ডার হিসেবে সিনিয়র সোহেল রানাকে দেখা গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। জামাল ভূঁইয়াকে কোচ রেখে দিতে চাইবেন দ্বিতীয়ার্ধের জন্যে। সামিত সদ্যই ইনজুরি থেকে সেরে উঠেছেন। পুরো নব্বই মিনিট তিনি হয়ত খেলতে পারবেন না। সে কারণে তার বদলি হিসেবে রাখা হতে পারে জামালকে।

কিংবা দ্বিতীয়ার্ধে পরিকল্পনার বদলে জামালকে দেখা যাবে মাঠে। মধ্যমাঠের হিসেব-নিকেশ শেষে এবার রক্ষণের দিকেই নজর দেওয়া যাক। যেহেতু বাংলাদেশের কাগজে-কলমে বেঁচে থাকা স্বপ্নকে নতুন প্রাণ দেওয়ার জন্য ম্যাচ জয়ের কোন বিকল্প নেই, তাই তপু বর্মণ সেন্টার ব্যাক হিসেবে মাঠে নামবেন, পরিস্থিতি যেমনই হোক। যদিও শোনা যাচ্ছে হংকং ম্যাচের জন্য পুরোপুরি ফিট তপু।

তার পার্টনার হিসেবে তারিক কাজীর বিকল্প ভাবার এখনও সময় বা সুযোগ আসেনি, কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার সামনে। আর রাইটব্যাক হিসেবে তাজউদ্দিনই শুরু করবেন পরবর্তী ম্যাচ। প্রশ্ন আবারও রয়েছে লেফট ব্যাকে কে খেলবেন, তা নিয়ে। সাদ উদ্দিনের ভুলে একটি গোল হজম করেছিল বাংলাদেশ। তার পরিবর্তে মাঠে নামা জায়ান আহমেদ গোটা বাংলাদেশকেই মুগ্ধ করেছেন।

তবে দুশ্চিন্তা হচ্ছে হংকংয়ের রাইট উইঙ্গার এভারটন কামারগো। সাদ ওই একটি ভুল ছাড়া অবশ্যই বেশ ভালভাবেই আটকে রাখতে পেরেছিলেন এভারটনকে। মাঠে ডান সাইড দিয়ে এভারটনের ছোড়া ক্রসগুলো ভীষণ ভয়ের কারণ। অতএব লেফটব্যাক নিয়ে আবারও হয়ত দোটানায় থাকতে পারেন বাংলাদেশের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা।

আরও একবার সাদকে শুরুর একাদশে দেখা গেলেও যেতে পারে। দ্বিতীয়ার্ধের একেবারে শুরুতেই হয়ত সাদের বদলি হিসেবে জায়ানকে নামানো হতে পারে। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী অবশ্য সেই পরিবর্তন আসবে। আবার বিপরীত বিষয়ও ঘটতে পারে। তবে আক্রমণাত্মক খেলতে চাইলে, জায়ানকেই শুরুর একাদশে রাখা উত্তম।

গোলবারের নিচে আগের ম্যাচে মিতুল মারমা হতাশ করেছেন। তার পরিবর্তে মেহেদী হাসান শ্রাবণকে একাদশে রাখার একটা দাবি উঠেছে সমর্থকদীর কাছ থেকে। তবে ক্যাবরেরা মিতুলকেই হয়ত রাখতে চাইবেন। নিজের ভুল কিংবা বাজে পারফরমেন্সের একটা জবাব দেওয়ার সুযোগ তো তারও প্রাপ্য।

লেখক পরিচিতি

রাকিব হোসেন রুম্মান

কর্পোরেট কেরানি না হয়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ভাসতে চেয়েছিলাম..

Share via
Copy link