ভারতের এশিয়া কাপ দল, সামর্থ্য কিংবা সীমাবদ্ধতা কোথায়?

এশিয়া কাপের জন্য ১৭ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে ভারত। চোট কাটিয়ে দীর্ঘদিন বাদে সেই স্কোয়াডে ফিরেছেন শ্রেয়াস আইয়ার ও লোকেশ রাহুল। শুধু এ দুজনই নয়, ইনজুরির মিছিলে পড়ে এতদিন দলের বাইরে থাকা জাসপ্রিত বুমরাহ আর প্রসিদ্ধ কৃষ্ণাও এশিয়া কাপ দিয়ে একদিনের ক্রিকেটে ফিরছেন।

এ ছাড়া প্রথমবারের মতো ওয়ানডে দলে ফিরেছেন তিলক ভার্মা। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে বিশ্রাম থাকা মোহাম্মদ শামিকেও ফেরানো হয়েছে এশিয়া কাপের স্কোয়াডে। সব মিলিয়ে ভারতের স্কোয়াড কেমন হলো, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে এরই মধ্যে।

মিডল অর্ডার নিয়ে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল অনেক আগেই। তবে ইনজুরি কাটিয়ে লোকেশ রাহুল আর শ্রেয়াস আইয়ার ফিরে আসায় আপাতত স্বস্তি ফিলেছে ভারত শিবিরে। অধিনায়ক রোহিত শর্মার ভাষ্যমতে, ভারতের টপ থ্রি ব্যাটিং অর্ডারে রোহিত, গিল আর কোহলিই থাকছে। এরপর চার ও পাঁচে খেলবেন যথাক্রমে শ্রেয়াস আইয়ার ও লোকেশ রাহুল। এরপরের ব্যাটিং অর্ডার গুলোতে হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা খেলবেন।

পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে ব্যাটিং ও বোলিং অপশন বাড়াতে সুযোগ পেতে পারেন শার্দুল ঠাকুর। এরপর তিন পেসার ও একজন স্পিনারকে নিয়েই একাদশ সাজাতে পারে ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট।

তবে ভারতের এই সম্ভাব্য একাদশে সবচেয়ে অপরিপূর্ণতার জায়গা হচ্ছে, একজন অফস্পিনারের সংকট। শুধু একাদশ নয়, ১৭ জনের স্কোয়াডে ভারত অফস্পিনার রাখেনি। এর ব্যাখ্যায় অবশ্য রোহিত শর্মা জানিয়েছেন, ‘অশ্বিন এবং ওয়াশিংটন সুন্দর তাদের ভাবনায় ছিলেন। তবে ৫ পেসারের কোটা পূরণ করতেই তাদের রাখা হয়নি। এমনকি এ কারণে যুজবেন্দ্র চাহালও বাদ পড়েছেন।’

শ্রীলঙ্কার পিচ স্পিনসহায়ক বলেই পরিচিত। তারপরও ভারত কেন পেসার দিয়েই বোলিং আক্রমণ সাজাতে চাচ্ছে, সেই প্রশ্নটাই ঘুরে ফিরে আসছে। খুব সম্ভবত তিন পেসারের একাদশের দৌড়ে বুমরাহ, শামি, সিরাজরাই এগিয়ে থাকবেন। এর পাশাপাশি হার্দিক পান্ডিয়া ও শার্দুল ঠাকুল অতিরিক্ত পেসার হিসেবে থাকছেন। আর স্পিনার হিসেবে রবীন্দ্র জাদেজা ও কুলদ্বীপ যাদব থাকবেন।

এ হিসেবে একাদশে প্রসিধ কৃষ্ণার সুযোগ অনেকটা ক্ষীণই বলা চলে। ভারত অবশ্য স্পিন সহায়ক উইকেটে শার্দুল ঠাকুরের জায়গায় অক্ষর প্যাটেলকেও চাইলে খেলাতে পারে। তবে ১৭ জনের এ স্কোয়াডে অশ্বিন অথবা ওয়াশিংটন সুন্দর থাকলে একজন অফস্পিনার হিসেবে একাদশে স্পিন শক্তি বাড়তে পারতো। যেখানে স্কোয়াডেই কোনো অফস্পিনারের সুযোগ মেলেনি।

ভারতের ঘোষিত স্কোয়াডে অভাবের জায়গাটা এখানেই। এ ছাড়া সমৃদ্ধ ব্যাটিং অর্ডার, শক্তিশালী পেস বোলিং লাইন আপ নিয়ে ভারসাম্যপূর্ণ এক দলই গড়েছে ভারত। এখন দেখার পালা, ভারতের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে এই দল থেকে কোন দুইজন বাদ পড়েন। কারণ বিশ্বকাপের স্কোয়াড হবে ১৫ সদস্যের। যা ঘোষণা করার জন্য দলগুলোকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

আগামী ৩০ আগস্ট মুলতানে পাকিস্তান–নেপাল ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এবারের এশিয়া কাপ। তবে ভারতের যাত্রা শুরু হবে ২ সেপ্টেম্বরে, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে।

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link