রোহিতের নেতৃত্বে প্রশ্ন উঠছে বারবার

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায়। এরপর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের অস্ট্রেলিয়ার কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ। এখন পর্যন্ত রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ভারতের অর্জন শূন্যই বলা চলে।

অথচ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) তাঁর নেতৃত্বেই পাঁচ বার শিরোপা ঘরে তুলেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে নেতৃত্বের মুনশিয়ানা টেনে আনতে পারেননি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। ভারতের হয়ে এখন পর্যন্ত রোহিতের নেতৃত্বের অধ্যায়টা বৃত্ত-বন্দী হয়ে আছে হতাশার গল্পেই। আর রোহিতের এমন অর্জনশূন্য নেতৃত্ব নিয়ে সম্প্রতি হতাশা প্রকাশ করেছেন সাবেক ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার।

রোহিতের অধিনায়কত্ব নিয়ে নিজের অসন্তুষ্টি জানিয়ে কিংবদন্তি এ ক্রিকেটার এক ভারতীয় গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমি ওর কাছে আরও ভালো কিছু আশা করেছিলাম। ভারতে ব্যাপারটা ভিন্ন। কিন্তু বিদেশের মাটিতেই তো আসল পরীক্ষা। এ জায়গাটিতে আমি কিছুটা হতাশ। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের কথা যদি বলি, আইপিএলের এত অভিজ্ঞতা, শত শত ম্যাচে অধিনায়কত্ব আর সেরা খেলোয়াড়ের মিশ্রণে গড়া দল নিয়েও ফাইনাল খেলতে না পারাটা হতাশাজনক।’

অধিনায়ক রোহিতের পাশাপাশি কোচিং স্টাফদেরও কড়া সমালোচনা করেছেন গাভাস্কার। তাঁর মতে, কেউ নিয়মিতভাবে ব্যর্থ হলে কোচদেরও জবাবদিহি করা উচিত। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যাটাররা যদি দিনের পর দিন একই ভুল করে যেতে থাকেন, তাহলে তাহলে কোচদেরও কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত। তাঁরা কি আদৌ ব্যাটারের উন্নতির চেষ্টা করেছেন? তাঁরা কি ব্যাটারদের টেকনিকের ভুলত্রুটি শোধরানোর চেষ্টা করছেন?’

এ পর্যায়ে গাভাস্কারে জিজ্ঞেস করা হয়, গত ৫/১০ বছরে কোনো ব্যাটার তাঁর কাছে ব্যাটিং নিয়ে পরামর্শ চেয়েছিল কিনা ? এমন প্রশ্নে গাভাস্কার বলেন, ‘না, একজনও আসেনি। আগে রাহুল দ্রাবিড়, শচীন টেন্ডুলকার, ভিভিএস লক্ষ্মণরা নিয়মিত আসত। ওরা নিজেদের নির্দিষ্ট সমস্যা নিয়ে আলোচনা করত। আমি আমার মতো করে ওদের ফিডব্যাক দিতাম। তবে এখন কেউ আসে না।’

অবশ্য সুনীল গাভাস্কারের ভাষ্যমতে, এটি তাঁকে খুব একটা আহতও করে না। তাঁর মতে, এখন অভিজ্ঞ কোচ আছেন। তাঁরা তাদের শরণাপন্ন হবে, এটাই স্বাভাবিক। আর প্রয়োজন হলে আমি নিজে গিয়ে কথা বলব। তবে ভারতের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে নিয়ে তিনি বলেন, ‘দ্রাবিড় আর বিক্রম রাঠোর আছে। আমার মনে হয়, ক্রিকেটারদের সাথে প্রয়োজন ছাড়া বেশি কথা বলা উচিত না। কিছু সময় ওদেরও স্পেস দিতে হয়।’

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link