নিউজিল্যান্ডে খেলতে যাওয়ার হাজারটা উৎপাত আছে। এর মধ্যে উপমহাদেশীয় দলগুলোর বড় একটা চিন্তা হলো, তাদের পেসাররা গিয়ে ওখানে কেমন করবে। পেস সহায়ক উইকেট হলেও অনভ্যস্থতার কারণে প্রায়শ সেই ভালো কিছু করতে পারেন না বাংলাদেশের পেসাররা। ফলে এটা বাংলাদেশের জন্য একটা চিন্তার জায়গা। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের তরুন অলরাউন্ডার রাচিন রবীন্দ্র বলছেন, তারা নাকি বাংলাদেশের পেসারদের নিয়ে চিন্তিত!
রাচিন রবীন্দ্র কিছুদিন আগে বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। সেখানে তদের বিরূপ অভিজ্ঞতাই হয়েছে। তবে সিরিজ হেরেছে তারা মূলত স্পিনারদের কাছে। একেবারেই স্পিন সহায়ক উইকেটে অপ্রতিরোধ হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। কিন্তু রবীন্দ্র বলছেন, ওখানেই তিনি বাংলাদেশী পেসারদের নজরকাড়া কিছু ব্যাপার দেখেছেন।
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের টুইটারে আপলোড করা এক ভিডিওতে রবীন্দ্র বলেছেন, ‘আমি মনে করি, তাদের এখন এই মুহুর্তে খুবই রোমাঞ্চকর কিছু ফাস্ট বোলার আছে। আমরা বাংলাদেশে এই ফাস্ট বোলারদের কয়েক জনকে সামলেছি। ওরা আসলেই খুব জোরে বল করতে পারে। এটা আসলে প্রমাণ করে যে, গত কয়েক বছরে একটা ক্রিকেট দল হিসেবে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়ে এসেছে।’
রাচিন রবীন্দ্র হয়তো সেই টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামের বোলিংয়ে মুগ্ধ হয়ে গেছেন। তবে এটাই সত্যি যে, বাংলাদেশ এখনও নিউজিল্যান্ডের মাটিতে খুব ভালো কিছু করার মত অবস্থায় যায়নি। ফলে টেস্ট সিরিজে তাদের খুব বড় চ্যালেঞ্জই নিতে হবে।
টেস্ট সিরিজে শেষ অবধি যাই হোক, রবীন্দ্র নিজের দাবিতে অটল। তিনি বলছেন, বাংলাদেশ এখন খুব প্রতিদ্বন্ধীতামূলক ক্রিকেট খেলে। আর সেটা তারা টের পেয়েছেন।
এই সিরিজে বাংলাদেশ সাকিব আল হাসান বা তামিম ইকবালকে পাচ্ছেন না। মাহমুদউল্লাহ টেস্ট থেকে অবসরই নিয়ে নিয়েছেন। ফলে এই নিউজিল্যান্ড সিরিজে খুব অভিজ্ঞ খেলোয়াড় বলতে মুশফিকুর রহিম। তারপরও বাংলাদেশের অভিজ্ঞতাকেও খুব গুরুত্ব দিচ্ছেন রবীন্দ্র। তিনি বলছিলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের মাটিতে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশকে সামলেছি। ওরা ওখানে খুব কঠিন ক্রিকেট খেলেছিলো। ওদের দলে খুব অভিজ্ঞ কিছু খেলোয়াড় আছে। হারানোর জন্য বাংলাদেশ এখন খুব ভালো একটা দল। আমাদের আসলে গত কয়েক বছর ধরে যা করছি, সেটা করে যেতে হবে। আশা করি, আমরা সেটা করতে পারবো।’
বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডে দুটো টেস্ট খেলবে। ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। আর দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ৯ জানুয়ারি থেকে। দুটোই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। বাংলাদেশ ২০০১ সাল থেকে নিউজিল্যান্ডে ৩২টি ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ খেলেছে। কখনো কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি।