বর্ষসেরা ফ্লপ একাদশ

টেস্ট ক্রিকেটের জন্যও বছরটা বেশ সাফল্যের। টেস্ট ক্রিকেটের থেকে মানুষের আগ্রহ কমে গিয়েছে এমন কথা যারা বলছিলেন তাঁদের একটা জবাব দেয়া গিয়েছে। আইসিসি বেশ সাফল্যের সাথে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করেছে। প্রথমবারের মত নিউজিল্যান্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাও জিতেছে। তবে অনেক টেস্ট স্পেশালিস্ট ক্রিকেটারের এবার বছরটা ভাল যায়নি। এবছরের ফ্লপ সেই ক্রিকেটারদের নিয়েই এই টেস্ট একাদশ।

এবছরটা ক্রিকেট মাঠের জন্য একটা স্বস্তির সময় ছিল। গতবছর করোনার কারণে অনেক ম্যাচই খেলা হয়নি। ফলে এবার কতটুকু ক্রিকেট মাঠে গড়াবে সেটা নিয়েও ছিল সংশয়। তবে সেই আশঙ্কা দূর করে এবার ক্রিকেট মাঠ বেশ জমে উঠেছিল। বিশেষ করে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দুই ফরম্যাটে বড় কিছু ম্যাচও দেখেছে ক্রিকেট দুনিয়া। নানারকম ঘটনা নিয়ে বেশ মুখরিতই ছিল ক্রিকেট মাঠের ২০২১।

টেস্ট ক্রিকেটের জন্যও বছরটা বেশ সাফল্যের। টেস্ট ক্রিকেটের থেকে মানুষের আগ্রহ কমে গিয়েছে এমন কথা যারা বলছিলেন তাঁদের একটা জবাব দেয়া গিয়েছে। আইসিসি বেশ সাফল্যের সাথে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করেছে। প্রথমবারের মত নিউজিল্যান্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাও জিতেছে। তবে অনেক টেস্ট স্পেশালিস্ট ক্রিকেটারের এবার বছরটা ভাল যায়নি। এবছরের ফ্লপ সেই ক্রিকেটারদের নিয়েই এই টেস্ট একাদশ।

  • ডম সিবলি (ইংল্যান্ড)

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসেই দারুণ শুরু করেছিলেন ইংল্যান্ডের এই ওপেনার। টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের ভরাসার ওপেনার হয়ে উঠেছিলেন। তবে দেশটির এই টেস্ট ওপেনার এবছর একদমই ভালো সময় পার করেননি। ইংল্যান্ডের হয়ে ২০ ইনিংস খেলে মাত্র ১৯ গড়ে করেছেন ৩৫৬ রান। একটি সেঞ্চুরির দেখাও পাননি এবছর। সর্বোচ্চ ৮৭ রানের ইনিংস এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে।

  • মার্কাস হ্যারিস (অস্ট্রেলিয়া)

যদিও এবছর অজিদের হয়ে মাত্র ৪ টি টেস্ট খেলেছেন হ্যারিস। তবে সেখানেও নিজের অফ ফর্ম থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি তিনি। নিজের শেষ তিন টেস্ট ম্যাচে মাত্র ১৬.২০ গড়ে করেছেন ৮১ রান। এছাড়া অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেও তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৩৮ রান। এখন পরের ম্যাচ গুলোতে আবার নিজেকে ফিরে পান কিনা সেটিই দেখার বিষয়।

  • জ্যাক ক্রাউলি (ইংল্যান্ড)

ডম সিবলির মত ইংল্যান্ডের আরেক ব্যাটসম্যান জ্যাক ক্রলির সময়টাও খুব একটা ভালো যায়নি এবছর। নিজের অফ ফর্মের কারণে দল থেকে বাদ পড়েছেন। গত ১৪ ইনিংসে মাত্র ১ বার করতে পেরেছেন হাফ সেঞ্চুরি। এই সময়ে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ১৫৬ রান।

  • দীনেশ চান্দিমাল (শ্রীলঙ্কা)

শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইন আপের বড় ভরসার জায়গা দীনেশ চান্দিমাল। তবে এবছরটা ব্যাট হাতে নিজের সেরাটা দিতে পারেননি তিনি। শেষ ১২ ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ২৩০ রান। এই সময় তাঁর ব্যাটিং গড় নেমে এসেছি ২৩ এ। এছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ দুই টেস্টেও সবমিলিয়ে করেছেন মাত্র ৫৯ রান।

  • আজিঙ্কা রাহানে (ভারত)

লম্বা সময় ধরে ভারতের মিডল অর্ডারটা সামলে যাচ্ছেন এই ব্যাটসম্যান। টেস্ট ক্রিকেটের ভারতের অন্যতম সেরা পারফর্মারদের একজন হয়ে উঠেছিলেন। এমনকি ভারতের টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক হওয়ার একটা গুঞ্জনও তৈরি হয়েছিল। তবে অফ ফর্মের কারণে এখন একাদশে জায়গা পাওয়াটাও অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছে এই ব্যাটসম্যানের। এবছর মোট ২১ ইনিংস খেলে করেছেন মাত্র ৪১১ রান।

  • জনি বেয়ারস্টো (ইংল্যান্ড): উইকেটরক্ষক

২০১৬-১৭ সালে টেস্টে ইংল্যান্ডের সেরা পারফর্মারদের একজন ছিলেন জনি বেয়ারস্ট্রো। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপের অন্যতম শক্তির জায়গা। তবে দেশটির এই কিপার ব্যাটসম্যানও এবছর বাজে সময় কাটিয়েছেন। এখন দলে জায়গা পাওয়া নিয়েও আছে অনিশ্চয়তা। এবছর টেস্টে সবমিলিয়ে করেছেন মাত্র ৩৫১ রান।

  • ক্যামেরন গ্রিন (অস্ট্রেলিয়া)

নিজের অভিষেক টেস্ট সিরিজেই ভারতের বিপক্ষে ৮৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। তবে অ্যাশেজে তিন ইনিংসে তিনি করেছেন মাত্র ৩৫ রান। প্রথম ইনিংসে ডাকও মেরেছেন। ওদিকে এবছর খেলা ৪ টেস্টে বল হাতে নিয়েছেন ৫ উইকেট।

  • স্যাম কুরান (ইংল্যান্ড)

টেস্টে ইংল্যান্ডের এই অলরাউন্ডারের পারফর্মেন্স বেশ অবাকই করেছে। ২০১৮ সালেও ইংল্যান্ড দলের হয়ে দারুণ পারফর্ম করেছেন। তবে এবছর ব্যাট-বল কোন ডিপার্টমেন্টেই ঠিক জ্বলে উঠতে পারেননি। মোট ৭ টি টেস্ট খেলে ব্যাট হাতে করেছেন মাত্র ৮৭ রান। এছাড়া বল হাতে নিয়েছেন ৬ উইকেট।

  • কেশব মহারাজ (দক্ষিণ আফ্রিকা)

দক্ষিণ আফ্রিকার এই বাঁ-হাতি স্পিনার এবছর লাল বলের ক্রিকেটে নিয়েছেন মোট ১৯ টি উইকেট। এছাড়া বক্সিং ডে টেস্টেও হয়তো খেলার সুযোগ পাবেন। এছাড়া লোয়ার অর্ডারে কিছু রান যোগ করার দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। তবে এবছর সেটাও ঠিক করতে পারেননি। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ২৩ রান।

  • স্টুয়ার্ট ব্রড (ইংল্যান্ড)

শুধু ইংল্যান্ড কেন পুরো ক্রিকেট ইতিহাসেরই সফলতম পেসারদের একজন স্টুয়ার্ট ব্রড। টেস্ট ক্রিকেটে যার ঝুলিতে আছে মোট ৫২৬ উইকেট। ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয় সেরা উইকেট শিকারিও তিনি। তবে এবছর ৭ টেস্ট খেলেও নিজের আসল রূপটা দেখাতে পারেননি। সবমিলিয়ে নিয়েছেন মাত্র ১২ উইকেট।

  • জ্যাক লিচ (ইংল্যান্ড)

ইংল্যান্ডের এই স্পিনারও বছরটা খুব একট ভালো পার করেননি। যদিও এ বছর ৭ টেস্ট খেলেই তাঁর ঝুলিতে আছে ২৯ উইকেট। তবে স্পিনিং উইকেটের পুরোটা ব্যবহার করতে পারেননি তিনি। অ্যাশেজ টেস্টেও লাবুশেনের উইকেট নিয়েছেন। তবে পরের ম্যাচে আবার একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন এই স্পিনার।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...