রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে ম্যাচে নতুন জার্সি গায়ে মাঠে নামে রাজস্থান রয়্যালস। নিজেদের নিয়মিত জার্সির পরিবর্তে এদিন তাঁরা অল-পিংক জার্সি ব্যবহার করেছিল। আর এই পরিবর্তনের পিছনে রয়েছে মহৎ উদ্দেশ্য; মূলত রাজস্থানের নারীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই এমন উদ্যোগ নিয়েছে দলটি।
ভারতীয় উপমহাদেশে নারীরা বরাবরই বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে, ভারতের গ্রামীণ অঞ্চলে চিত্রটাও আরো ভয়াবহ। তবু অনেক নারী শৃঙ্খল ভেঙে অধিকার আদায়ের পথে নেমেছেন; নিজের পায়ে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে লড়াই শুরু করেছে। সাহসী আর সংগ্রামী এই নারীদের পাশে দাঁড়াতেই রাজস্থান রয়্যালস শুরু করেছে পিংক প্রমিজ ক্যাম্পেইন – যার মূল উপপাদ্য নারী উন্নয়ন।
মহৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে রাজস্থান রয়্যালস ফাউন্ডেশন। আর এটির মোটো নির্ধারণ করা হয়েছে – ‘অরাত হ্যায় তো ভারত হ্যায়’। প্রান্তিক পর্যায়ে নারীদের আর্থো-সামাজিক উন্নয়নে সাহায্য করে প্রতিষ্ঠানটি।
ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে ম্যাচটি এই কার্যক্রমেরই অংশ; তাই তো ম্যাচটিকে বলা হচ্ছে পিংক প্রমিজ ম্যাচ। ম্যাচের জন্য তৈরিকৃত গোলাপি জার্সি বিক্রির সমুদয় অর্থ চলে যাবে রাজস্থান রয়্যালস ফাউন্ডেশনে। এছাড়া পুরো ম্যাচে দুই দল মিলে যতটি ছক্কা হাঁকাবে তার প্রতিটির জন্য ছয়টি ঘরে সোলার প্যানেল স্থাপন করা হবে।
আলো জ্বলমলে ক্রিকেট লিগগুলোর বিজয় বোধহয় এখানেই; একটা ফ্রাঞ্চাইজি কেবল শিরোপা জেতার জন্য মাঠে খেলে তেমনটা নয়। স্রেফ অর্থ উপার্জন কিংবা খ্যাতির পিছনে ছোটাও তাঁদের ধ্যানজ্ঞান নয়। সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতি পূর্ণ মাত্রায় সচেতন তাঁরা; সেটারই প্রমাণ রাজস্থানের এই নারী উন্নয়নের কার্যক্রম।
শুধু রাজস্থান নয়, ব্যাঙ্গালুরুও ক্রিকেটের বাইরে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। বৃক্ষরোপণ এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ব্যাপারে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে দলটি ২০১১ সালে শুরু করেছিল ‘গো গ্রিন’ ক্যাম্পেইন। এর অংশ হিসেবে প্রতি মৌসুমের একটি ম্যাচে নিজেদের নিয়মিত জার্সির পরিবর্তে সবুজ রংয়ের জার্সি ব্যবহার করে বিরাট কোহলি, ফাফ ডু প্লেসিসরা। এই জার্সি আবার তৈরি করা হয় পুর্নব্যবহারযোগ্য উপাদান দিয়ে।